পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বাস না অসহায়তার সুযোগ, সেই প্রশ্নই উঠছে গুড়গাঁওয়ের ঘটনার মধ্য দিয়ে। পরিচারিকার কাজে রেখে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে এক আদিবাসী নাবালিকার উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুরুগাঁও পুলিশ শুক্রবার প্লেসমেন্ট এজেন্সির মালিক সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের নাম অরুণ কুমার তুরি, অপর একজনের নাম মণীশ নাগ। মণীশ ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। অরুণের কাজ ছিল গৃহস্থ বাড়িতে পরিচারিকার কাছে মেয়েদের পাঠানো। অরুণ দিল্লিতে এই প্লেসমেন্ট এজেন্সি চালাতেন। তবে এই এজেন্সি রেজিস্টার নয়। মণীশ হাউস কিপিংয়ের কাজ করতেন। লকডাউনের সময় অরুণের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে মণীশের।
নাবালিকার মামা মণীশের পূর্ব পরিচিত ছিলেন। সেই সূত্র ধরেই দিল্লিতে এসে আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে ভাগ্নির জন্য একটি কাজের ব্যবস্থা করে দিতে মণীশকে বলেন তিনি।
মণীশ ওই নাবালিকাকে নিয়ে অরুণের কাছে আসেন। সেই সময় অরুণ মণীশকে এক দম্পতির ঠিকানা দিয়ে ওই নাবালিকাকে কাজের জন্য পাঠান।
পুলিশি তদন্তে দেখা গেছে, অরুণ ওই ১৭ বছরে নাবালিকাকে কাজে দেওয়ার বিনিময়ে অভিযুক্ত দম্পতির কাছ থেকে ৩০, হাজার টাকা নেয়, এবং সেই টাকার মধ্যে ১০,০০০ টাকা মণীশকে তার কমিশন হিসাবে দিয়েছিলেন। অরুণের নামে মানব পাচারের দুটি অভিযোগ দায়ের আছে ঝাড়খণ্ডের এক থানায়। তাকে গ্রেফতার করা না হলেও অপরাধী ঘোষণা করা হয়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ড পুলিশকে সমস্ত ঘটনার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। মিলিতভাবে তদন্ত হবে। অত্যাচারিত নাবালিকা একজন তপশিলি উপজাতি, তাই এসসি/এসটি আইন অনুযায়ী তদন্ত চলবে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই মামলায় অভিযুক্ত দম্পতি মণীশ খাট্টার ও কমলজিৎ কউরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খাট্টারকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পারে, অভিযুক্ত দম্পতি ওই নাবালিকাকে পাঁচ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করাতেন। ফুটেজ বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত নাবালিকার উপরে নির্যাতন চালাতেন ওই দম্পতি।