পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ দেশ জুড়ে চলছে অষ্টদশ লোকসভা নির্বাচন। ভোট শেষেই মধ্যবিত্তের পকেটে টানা পড়েতে চলেছে । এমনিতেই দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকায় হাত পুড়ছে আম আদমির এই অবস্থায় বাড়তে চলছে মোবাইল ফোনের বিল। সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকবার বেড়েছে মোবাইল ব্যবহারের খরচ। তবে এবারের বৃদ্ধি আগের রেকর্ড ভাঙবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির সঙ্গে তুলনায় ভারতে মোবাইল ডেটার মূল্য কম।
ব্রোকারেজ ফার্ম, ‘অ্যাক্সিস ক্যাপিটালে’র সাম্প্রতিকতম এক প্রতিবেদন বলছে, টেলিকম সংস্থাগুলি আরও একবার শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। তাই, শিগগিরই ভারতে মোবাইল ফোনের বিল বাড়বে। এর ফলে, তাদের ব্যবহারকারী প্রতি গড় আয় বাড়বে বলে আশা করছে টেলিকম অপারেটররা।
কতটা বাড়বে শুল্ক? ‘অ্যাক্সিস ক্যাপিটালে’র প্রতিবেদন অনুসারে, ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি করতে পারে টেলিকম অপারেটররা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “টেলিকম ক্ষেত্রে ভারতে একটি স্থিতিশীল প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ রয়েছে। সরকারি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু, অপারেটররা ৫জি-তে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে। তাই তাদের লভ্যাংশ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।। এই অবস্থায়, প্রায় ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
বর্তমানে শহুরে পরিবারগুলি, তাদের মোট সাংসারিক খরচের প্রায় ৩.২% ব্যয় করে মোবাইল পরিষেবার পিছনে। ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির পর, টেলিকমের পিছনে তাদের খরচ বেড়ে, মোট খরচের ৩.৬% হতে পারে। মোবাইলের পিছনে গ্রামীণ গ্রাহকদের খরচ, তাদের মোট সাংসারিক খরচের ৫.২% থেকে বেড়ে ৫.৯ শতাংশ হতে পারে।
অপর দিকে, টেলিকম সংস্থাগুলির গ্রাহক প্রতি গড় আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে। মার্চ শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে, জিও সংস্থার গ্রাহক প্রতি গড় আয় ছিল ১৮১.৭ টাকা। তার আগের ত্রৈমাসিকে ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া র গ্রাহক প্রতি গড় আয় ছিল যথাক্রমে ২০৮ টাকা এবং ১৪৫ টাকা। অ্যাক্সিস ক্যাপিটালের অনুমান, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে, এই টেলিকম জায়ান্টগুলির গ্রাহক প্রতি গড় আয় ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরপর তিনবার শুল্ক বৃদ্ধি করেছিল টেলিকম সংস্থাগুলি। কোটাক ইনস্টিটিউশনাল ইক্যুইটিজের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সময় ভারতী এয়ারটেলের গ্রাহক প্রতি আয় ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। একই সময় জিও এবং ভোডাফোন আইডিয়া সংস্থার গ্রাহক প্রতি আয় বেড়েছিল ৩৩ শতাংশ করে।