পুবের কলম প্রতিবেদক, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলা শিল্প কেন্দ্রের উদ্যোগে ঘোষণা অনুযায়ী জেলার হস্তশিল্পীদের শিল্পকর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল এডওয়ার্ড হলে। এই প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় হস্তশিল্পীদের শিল্পকর্মের মধ্যে টেরাকোটা, ডোকরা, বালুচরী, বাঁশ, কাঠ ও পাথরের শিল্প সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। জেলাস্তরে এই প্রতিযোগিতা থেকে এবার ৪ টি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও বিশেষ পুরস্কার মিলিয়ে ১২ টি শিল্পকর্ম যাবে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায়।
মঙ্গলবার বিজয়ীদের শিল্পকর্ম ও শিল্পীর নাম ঘোষণা করা হয়। জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রসূন নায়ক বলেন, এবার টেরাকোটা শিল্পের পোড়ামাটির ‘লক্ষ্মীর ঝাঁপি’ তৈরি করে প্রথম পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন স্যান্দড়া গ্রামের রঞ্জিত কুম্ভকার। প্যাঁচার আদলে নির্মিত ‘লক্ষ্মীর ঝাঁপি’ সঞ্চয়ের প্রতীক হিসেবে সমাজের কাছে বার্তা বহন করছে বলেও বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তেমনি এক ডোকরা শিল্পী ‘যুদ্ধরত অর্জুনের রথ’ তৈরি করে বিশ্ব শান্তির শ্লোগান-‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’-কে সামনে রেখে কৃষ্ণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী অর্জুনের যুদ্ধ করবেন না বলে কাতরতার ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। টেরাকোটার কাজে পাঁচমুড়ার ভূতনাথ কুম্ভকার পোড়ামাটির কোদাল তৈরি করে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর দাবি তিনি এই কোদালের মধ্যে যে শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন সেগুলি হল ‘চল কোদাল চালাই, ভুলে মানের বালাই’।
এই শিল্পে ‘ছৌ গণেশ’ তৈরি করে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন পাঁচমুড়ার মৃৎশিল্পী মধুসূদন কুম্ভকার। নজর কেড়েছেন বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহির গৃহবধূ অর্পিতা সরকার। রসুনের খোসা দিয়ে তৈরি তার নিপুন হাতের সপরিবার দুর্গা তৈরি করে বুঝিয়েছেন কোনো জিনিসই ফেলনা নয়। বাঁশের ‘আইফেল টাওয়ার’, বালুচরীর নতুন নকশা, পোড়া মাটির জিনিসের উপর করোনাভাইরাস ও কোভিড যোদ্ধার কারুকার্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।