পুবের কলম প্রতিবদেক: বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুনে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানালেন মৃতের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস। বুধবার তিনি বলেন, ‘আমি যেন আমার বাবা হত্যার বিচার পাই। কারা এটা করেছে, কেন করেছে, এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমি এর শেষ দেখতে চাই। তারা কেন এই রকম করেছে আমি দেখতে চাই। আমি বিচার চাই।’
উল্লেখ্য, চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। কিন্তু আর ফেরা হল না ঘরে। নিউটাউনের এক অভিজাত আবাসন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। পরে তারা ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে নিয়ে কথোপকথন করেছে। বুধবার সকালে বাংলাদেশের সাংসদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আনোয়ারুল আজিম বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের তিনবারের সাংসদ ছিলেন। সাংসদের এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই মৃত্যু পরিকল্পিত খুন, কি ঘটনা রয়েছে এর পিছনে তার জেরে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ মে কলকাতায় আসেন আজিম। এখানে অফিসারের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি।সঙ্গে ছিলেন আরও তিন জন। বরানগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আজিম, তাঁর নাম গোপাল বিশ্বাস। গত ১৩ মে তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভাড়া করা গাড়িতে উঠেছিলেন আজিম। দুপুর ১ টা ৪১ মিনিটে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, কলকাতার স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে এসেছিলেন। কিন্তু ১৩ মে’র পরে ওই সাংসদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয় তার পরিবারের সদস্যদের। আজিমের কন্যা বাংলাদেশের থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে তদন্ত শুরু হয়। সাংসদের মেয়ে কলকাতায় এসেছেন। গোপাল বিশ্বাস ১৮ মে বরানগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তদন্ত করছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। সঙ্গে রয়েছে আইবি, এসটিএফ।
এদিকে রাজনৈতিক কারণে একটা বড় সময় তাঁকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে বলে জানান মুমতারিন। তবে কারা তাঁর বাবাকে হত্যা করেছে সেটা তিনি জানেন না। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে তিনি। মুমতারিন বলেন, ‘কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুনেছি। বাকিদেরকেও ধরা হোক। তাহলে অবশ্যই কোনো না কোনো কিছু বেরিয়ে আসবে। আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’