কৌশিক সালুই বীরভূমঃ এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে (unnatural death) কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানার অন্তর্গত চিনপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের এলেমা গ্রামে। মৃত ব্যক্তির মায়ের অভিযোগ বৌমা এবং তার পরিবার ছেলের খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস পুলিশের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তি হলেন নরেশ বাউরী বয়স ৩৮ বছর পেশায় টোটোচালক, মঙ্গলবার সকালে ওই যুবকের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় বাড়ির সামনে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ বৌমা এবং তার বাবা-মা এই খুনের ঘটনায় সঙ্গে জড়িত। চার পাঁচ মাস আগে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জগদ্ধাত্রী বাউরী দাম্পত্য কলহের জেরে বাধেরসোল বাবার বাড়ি চলে যান তারপর থেকেই বিবাদ চলছিল দুজনের মধ্যে। একদিন সকালে ওই ব্যক্তির দেহ দেখতে পাওয়ার পর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা পুলিশ কুকুর এনে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
কয়েক ঘন্টা পর পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায় এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মৃত ব্যক্তির মা আসা বাউরি সদাইপুর থানায় ছেলের স্ত্রী ও শ্বশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও পুলিশের দাবি মৃতদেহকে কোনভাবে আঘাতের চিহ্ন ছিল না তবে বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হয়ে যাবে। মৃত ব্যক্তির মা আশা বাউরি বলেন,” কয়েক মাস হল দাম্পত্য বিবাদের জেরে বৌমা বাবার বাড়ি চলে গিয়েছে।
গত সোমবার রাত্রে ছেলেকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে ছেলে জানিয়েছিল। পরদিন সকাল বেলায় বাড়ির কাছ থেকেই ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বৌমা সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তারা এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত”। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী বলেন,” ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে এবং তারপরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”।