পুবের কলম প্রতিবেদক: ইন্তেকাল করলেন প্রাক্তন বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার সাবেক ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার বিকেল ৪টে ৩০ মিনিট নাগাদ কলকাতার রিপন স্ট্রীটের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি। একাধারে ইকবাল আহমেদ যেমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তেমনই ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। মহামেডান স্পোটিং ক্লাবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি গ্রাউন্ড সেক্রেটারি ও ফুটবল সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। ময়দানে সকল ফুটবলার, কোচ এবং ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। তাঁর মৃত্যুতে বাংলার ফুটবল ময়দানের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। তাঁর ইন্তেকালে ক্রীড়া মহলের সঙ্গে রাজনৈতিক মহলেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার বাড়িতেই তাঁর ইন্তেকাল হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি রে’ে গিয়েছেন স্ত্রী পুত্র ফারহান আহমেদ, কন্যা সানা আহমেদ (বরো ৬-এর চেয়ারপার্সন)। ইকবাল আহমেদ সম্পর্কের দিক থেকে উলুবেড়িয়ার বিদায়ী সাংসদ সাজদা আহমেদের দেবর।
এ দিন তাঁর ইন্তেকালের ‘বর পেয়েই বাড়িতে আসেন কলকাতা পুরসভার মেয়র মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা কলকাতা কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন মালা রায়, মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, সাংসদ নাদিমুল হক, মেয়র পারিষদ তথা মহামেডান ক্লাবের সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি। বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। উল্লেখ্য, মরহুম ইকবাল আহমেদ কলকাতা পুরসভার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়রও ছিলেন ইকবাল আহমেদ। দীর্ঘদিন কাউন্সিলর থাকার পাশাপাশি ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, পর পর দু’বার সিপিএম অধ্যুষিত হুগলির খানাকুল থেকে বিধায়ক হয়ে চমক দিয়েছিলেন ইকবাল আহমেদ। তাঁর এই পরিচয়ের বাইরে ইকবাল আহমেদ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী সুলতান আহমেদের ভাই ছিলেন। অবশ্য এ দিন আল্লাহ্র ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান। তাঁর ইন্তেকালে বহু বিশিষ্টজন শোকপ্রকাশ করেছেন।
এ দিন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান মরহুমের রূহের মাগফিরত কামনা করেন। ইমরান বলেন, ‘ইকবাল ভাইকে আমি জানতাম। উষ্ণ হৃদয়ের মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁর ইন্তেকালে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। আল্লাহ্ তাঁকে মাফ করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দিন, এই দোয়া করছি।