বিশেষ প্রতিবেদন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে আরো দেশকে জায়গা দিতে হলে ইইউর সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এখন যে কাঠামো আছে তার সংস্কার প্রয়োজন। ২০৩০ সালের মধ্যে সেই সংস্কার শেষ করা উচিত। তাহলেই আরো নতুন দেশকে ইইউতে জায়গা দেওয়া যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।
স্লোভেনিয়ার লেক সাইডে ইউরোপীয় কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানে বলকানের নেতারা যোগ দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে এক বৈঠকেই এ কথা বলেছেন মিশেল। তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ইইউকে আরো প্রশস্ত করতে হবে এবং তার জন্য নিজেদের সংস্কার প্রয়োজন। সময়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে এ কাজ করা দরকার। এতে বোঝা যাবে, আমরা বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস।’
মিশেলের বক্তব্য, ইইউতে আরো অনেক রাষ্ট্র যাতে যোগ দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু নিজ থেকে তা হবে না। তার জন্য ইইউর সংস্কার প্রয়োজন। ২০৩০ তারই লক্ষ্যমাত্রা। তার মতে বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। কে কোন দিকে দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও ইইউর দায়িত্ব। সে কারণেই সম্প্রসারণ জরুরি। আগামী অক্টোবরে স্পেনের গ্রানাডায় ইইউর নেতারা আরেকটি বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন মিশেল। সেখানে ইইউর পক্ষে এখন আর কতগুলো দেশকে নিজেদের ব্লকে ঢোকানো সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত বলকান দেশগুলো ইইউতে ঢোকার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কিন্তু ইইউতে যোগ দিতে গেলে প্রতিটি দেশের সবুজ সংকেত প্রয়োজন হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, কোন দেশ কার সঙ্গে আছে। রাশিয়ার বলকান প্রতিবেশী সার্বিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউর ঘোষণা করা নিষেধাজ্ঞা মানেনি। তবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তারা জেলেনস্কির দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। বৈঠকে এ সমস্ত আলোচনাই সামনে এসেছে।