কিবরিয়া আনসারী: সরকারি পরিষেবা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচিতে উপকৃত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বিপুল সাড়া মেলায় রাজ্যজুড়ে দফায় দফায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি করা হয়েছে। বিপুল সাড়া দেখে দুয়ারে সরকারের মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। গত মাসেই সপ্তম দুয়ারে সরকার কর্মসূচির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নবান্ন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, অথাৎ ১ মাস ধরে এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছিল নবান্ন।
সপ্তম দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতেও দেখা গেল বিপুল সাড়া। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার। গত দশদিনে রাজ্যের জেলাগুলিতে ৫২,৭৪৯ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিবিরগুলিতে গিয়ে সরকারি পরিষেবার সুবিধা নিয়েছেন ৪২,৬৫,১৬৫ মানুষ। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিবিরগুলিতে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিতে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ আবেদন জমা দিয়েছেন। সরকারি পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে পাঁচটি জেলা। প্রথম স্থানেই রেয়েছে মুর্শিদাবাদ। এই জেলায় প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ পরিষেবার সুবিধা নিয়েছেন। দ্বিতীয় জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ৪ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। নদীয়া ২.৭৭ লক্ষ, উত্তর ২৪ পরগনায় ২.৪৬ লক্ষ এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১.৬৭ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
এবারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে মোট ৩৫ টি পরিষেবার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। শিবিরে যুক্ত করা হয়েছে আরও দুটি পরিষেবা। যার মধ্যে রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশন ও বৃদ্ধদের পেনশনের সুবিধা। সপ্তম কর্মসূচিতে ৩৫ টি পরিষেবার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ৬টি প্রকল্পের ক্ষেত্রে। ৫,২৫,৩৭৬ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায়। ঐকশ্রী প্রকল্পে জমা পড়েছে ২,১৩,৫৯২ লক্ষ আবেদন। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে, তাতেও নজরকাড়া আবেদন জমা পড়েছে। ১,৬৯,৩০২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১,৪০,৬৪৬, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ১,১৭,১৮৪, বৃদ্ধদের পেনশন প্রকল্পে ৫৯,৩৮৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।