পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু মিছিল। ২৪ জনের মৃত্যুর পর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু। গত তিনদিনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১। মৃতদের মধ্যে ১৫ জন শিশুর মধ্যে ১২ জন সদ্যোজাত বাকি ১৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক।
মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে এত রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বিজেপি শাসিত একনাথ শিন্ডে সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে নান্দেদ জেলার ডিআইও বলেছেন, ডাঃ শঙ্কররাও চভান সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবরের মধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি সাত জনের মৃত্যু হয়েছে অক্টোবরের ১ ও ২ তারিখে। আতঙ্কিত হবে না। চিকিৎসকেরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন’।
মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় নান্দেদ জেলার সরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা এই ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আশ্বাস দিয়েছেন যে হাসপাতালের মৃত্যুর বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে “যথাযথ ব্যবস্থা” নেওয়া হবে। এদিন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষামন্ত্রী হাসান মুশরিফ।
সোমবার শঙ্কররাও চভান সরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ওষুধের ঘাটতির কারণে এই মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ডিন জানিয়েছেন, ১২ জন শিশু মারা গিয়েছে। এর মধ্যে ৬টি বালক, ৬টি বালিকা। বাকি ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক মারা গেছেন সাপের কামড়সহ বিভিন্ন রোগের কারণে। এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসা করাতে মানুষ ৭০-৮০ কিলোমিটার দূর থেকে এখানে আসে। ফলে চাপ খুব বেশি। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কখনও কখনও বাজেট ছাড়িয়ে যায়, সেই কারণে ওষুধের ঘাটতি দেখা যায়। তবে মঙ্গলবার হাসপাতালের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, রোগীরা মৃত্যুর মুখে, কিন্তু ওষুধ নেই।
হাসপাতালের অপর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওষুধের জন্য ১২ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে, ৪ কোটি প্রক্রিয়াধীন। গত দুদিন ধরেই অনেক রোগী হাসপাতালে এসেছেন। চিকিৎসক, স্টাফরা তাদের দেখভাল করছেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই ঘটনাকে খুব দুঃখজনক বলে জানিয়ে, প্রকৃত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।