জিশান আলি মিঞা, ডোমকল: বয়স তখন মাত্র দু’বছর দু’মাস। এই বয়সেই তার ঠোঁটস্থ বারো মাসের নাম– সপ্তাহের সাত দিনের নাম– অন্তত এক ডজন ফলের নাম– ইংরেজি বর্নমালার সমস্ত অক্ষর– দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানীর নাম এমনকি বিভিন্ন দেশের রাজধানীর নামও। তাছাড়া ইংরেজিতে বিভিন্ন ফল– আনাজ– পশুপাখির নামও তার জানা। বর্তমানে সে ডোমকলের ‘গুগল গার্ল’ নামে পরিচিত। ওই শিশুকন্যার নাম সাইকা হাসিন। বর্তমানে তার বয়স দু-বছর পাঁচ মাস। কিন্তু এখন থেকে প্রায় তিন মাস আগে যখন তার এই প্রতিভার কথা ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’-এ তোলার তোড়জোড় চলছিল তখন তার বয়স ছিল মাত্র দু’বছর দু’মাস।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শীবনগর গ্রামের বাসিন্দা সুরজ মণ্ডল ও লাইকা সাবিবুন্নাহারের মেয়ে সাইকা। সাইকার বাবা সুরজ পেশায় একটি ব্যাঙ্কের সিএসপি অপারেটর। মা লাইকা সাবিবুন্নাহার গৃহবধু। সাইকার আব্বা, মা বলেন– এক বছর বয়সেই বুলি ফোটে তার। প্রথম থেকেই লক্ষ্য করি আর পাঁচটা শিশুর থেকে আমাদের মেয়ে আলাদা। কোনও কিছুর নাম একবার শুনলেই সে তা মনে রাখতে পারে। পরে জিজ্ঞাসা করলে আবার বলতেও পারে। এই প্রতিভা দেখেই একের পর এক মাসের নাম– দিনের নাম– রাজ্য– দেশ ও রাজধানীর নাম মুখস্থ করানো হয়। আর জিজ্ঞাসা করলেই অনায়াসেই অনর্গল একের পর এক তা বলে দিতে পারে ছোট্ট সাইকা। সাইকার প্রতিভার কথা জানতে পেরে অনেকেই ভিড় জমান তাদের বাড়িতে।
বিষয়টি অন্যরকম জানতে পেরেই ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’এ নাম তোলার জন্য আবেদন করেন সাইকার বাবা। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’ এর তরফে সাইকার বাড়িতে পৌঁছেছে তার অর্থাৎ ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’ এ নাম ওঠার শংসাপত্র সহ অন্যান্য পুরষ্কার। স্বভাবতই খুশির হাওয়া ডোমকলের শীবনগরের ছোট্ট ‘গুগল গার্ল’এর পরিবারে।