পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘চাপ সৃষ্টি করবেন না’ এমনই মন্তব্য করেছেন এক ধর্ষিতা নাবালিকার মা। দিল্লির এক সরকারি আমলার দ্বারা ধর্ষণের শিকারে হন ১৭ বছর বয়সী এক নাবালিকা। তাঁর মা নিজেদের গোপনীয়তার অনুরোধ করে একটি চিঠিতে বলেছেন, মেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর জবানবন্দি দিয়েছেন। সবটা নথিভুক্তও করা হয়েছে। তাই তারা আর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে চান না। এই ঘটনার বিষয়ে কারও সাথে দেখাও করতে চান না।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের অক্টোবরে বাবা মারা যায়। তারপর থেকেই আমলার স্ত্রীকে ‘মা’ বলে ডাকে এবং আমলার বাড়িতেই থাকত ১৭ বছর বয়সী ওই নাবালিকা। ৫১ বছর বয়সী প্রেমোদয় খাখা দিল্লি সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি দিল্লির বুরারি শক্তি এনক্লেভের বাসিন্দা। এক বছর ধরে একাধিকবার নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। নাবালিকা মেয়েটি যখন গর্ভবতী হয়ে পড়েন, তখন সে নিজেই খাখার স্ত্রীকে বিষয়টি জানা্য়। গর্ভধারণ বন্ধ করার ওষুধ নিয়ে এসে নাবালিকাকে খাওয়ানোর অভিযোগ ওঠে খাখার স্ত্রী সীমা রানীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ অগাস্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিন পুলিশ ওই আমলাকে গ্রেফতার করতে গেলে তাঁরা সপরিবারে পালানোর চেষ্টা করেন। সোমবার অভিযুক্ত প্রেমোদয় খাখা ও স্ত্রী সীমা রানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে, ধর্ষণে অভিযুক্ত আমলাকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই বিষয়ে মুখ্য সচিবের কাছে একটি রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি মুখ্য সচিবকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছি। আমি সন্ধ্যার মধ্যে মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্টও চেয়েছি’।