পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য-রাজনীতিতে বড়সড় রদবদল। সোমবার বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দিলীপ ঘোষকে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতৃত্ব বৈঠকের পরই জরুরি সিদ্ধান্ত বাংলা। বাবুল সুপ্রিয়র দলত্যাগের পরেই নড়েচড়ে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় দল ছাড়ার হিড়িক আটকাতেই তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ার। এবার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্তকে সীলমোহর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।
দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোপীবল্লভপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ভোলানাথ ঘোষের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। ১৯৮৪ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য হন ও হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় দিলীপ ঘোষের। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী হিসাবে আন্দামানে কাজ করেন তিনি। ২০১৬ সালে খড়্গপুর সদর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ও জ্ঞান সিং সোহনপালকে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হন প্রথম। ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন দিলীপ ঘোষ। ২০১৫ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন দিলীপবাবু। সেই বছরই রাজ্য সভাপতি পদে তাঁকে বসায় দল। এরপর একে একে ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে খড়্গপুর থেকে নির্বাচিত হন তিনি। পরে ২০১৯ -এ মেদিনীপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ১৯৭৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্ম। শিক্ষাগত যোগ্যতা বটানিতে পিএইচডি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে পরাজিত করে বালুরঘাট থেকে জয়লাভ করেন। বহুদিন ধরেই তাঁর রাজনীতির সঙ্গে ওঠাবসা।
দায়িত্ব পেয়ে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, দলের হয়ে সব দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবেন তিনি। দলকে শক্তিশালী করাই তাঁর মূল লক্ষ্য।