লেখা ও ছবি অর্পিতা লাহিড়ী
এখনও রয়েছে করোনার আতঙ্ক, এর ওপর তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটি। তাই দু ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে বেরিয়ে পড়তেই পারেন এই রাজ্যের কোন অফবিট ডেসটিনেশনের উদ্দেশ্যে। যেমন পুরুলিয়া জেলার সুন্দরবন বলে খ্যাত রঞ্জনডিহিতে।এই রঞ্জনডিহকে যোগমায়া সরোবরও বলা হয়।
এখনও সেভাবে পর্যটকদের ভিড় শুরু হয়নি। তাই উপভোগ করতে পারবেন জলের মধ্যে শ্বাসমূল উদ্ভিদ ম্যানগ্রোভকে। হারিয়ে যেতে মন চাইবে সোনাঝুরির জঙ্গলে।
সুবিস্তৃত জলরাশি নয় এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সোনাঝুরির জঙ্গলে যেন এক অদ্ভুত মাদকতা রয়েছে। তাই একান্তে কোনও বিকেল বা গোধূলি দারুণ কাটতে পারে আপনার। সুন্দরবনের মতো এখানেও ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অনুভূতি পাবেন। তবে সুন্দরী, গরাণ, গেঁওয়া হেতালের উপস্থিতি নেই। নেই দক্ষিণ রায়ও।
পুরুলিয়া জেলার আদ্রা স্টেশন থেকে তেরো কিলোমিটার দূরে। কাশিপুর থেকেও যেতে পারেন। কাশিপুর থেকে নয়-দশ কিলোমিটার দূরে রঞ্জনডিহি। এক্ষেত্রে কাশিপুর থেকে ধতলা মোড় হয়ে কিছুটা এগিয়ে ডানদিকে হাঁটাপথ।