পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ করোনা অতিমারীর আবহে অনেকেই দীর্ঘদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেছেন, আবার অনেকেরই টানা চেয়ারে বসে কাজ। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে বেড়ে যাচ্ছে ” মধ্য প্রদেশ”, চোখ রাঙাচ্ছে কোলেস্টেরল, ওবেসিটি, ডায়াবেটিস। ছুটেছে রাতের ঘুম।
চিকিৎসকরা বলছেন অকারণ ডায়েটিং না করে কিছু সুনির্দিষ্ট উপায় মেনে চলতে।পুষ্টিবিদরা কিনোয়া খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন, কি এই কিনোয়া?
শস্যদানার মতো দেখতে হলেও কিনোয়া আদতে বীজ। যদিও এর রন্ধনপ্রণালী একেবারেই আর পাঁচটা শস্যের মতো। অনেকে একে কিনুয়াও বলেন। শ্যামা চালের মতো দেখতে এই খাবারের আদি ঠিকানা দক্ষিণ আমেরিকায়। ইনকা সভ্যতার সময়ে এর চল ছিল ‘মাদার অফ অল গ্রেনস’ হিসেবে। ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রীতিমতো পবিত্র খাদ্য হিসেবে কদর থাকলেও সারা দুনিয়ায় সুনাম কুড়িয়েছে কিনোয়া অতি সম্প্রতি।
কেন সুপারফুড এই কিনোয়া?, এতে ভাত, রুটির থেকেও কম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, এমনকি দালিয়া,ওটসের থেকেও আরও কম কার্বস রয়েছে কিনোয়াতে।
কিনোয়া এমন একটা খাবার যার মধ্যে ন’টি এসেন্সিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের সবক’টি মজুত। অর্থাৎ, এর চেয়ে ভালো প্রোটিন আর হয় না। তা ছাড়াও কিনোয়াতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ। আছে প্রচুর ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ই। এবং সর্বোপরি, অন্যান্য শস্যের মতো এতে গ্লুটিন থাকে না বলে গ্লুটিন সহ্য করতে না-পেরে যাঁরা অ্যালার্জি কিংবা পেট খারাপের সমস্যাতে ভোগেন তাদের জন্য একটি নিরাপদ খাদ্য হল কিনোয়া।
কিনোয়া দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন নানা পদ। খিচুড়ি, পোলাও, কিনোয়া চাপাটি, চিকেন কিনোয়া, মিক্সড ভেজ কিনোয়া।
তবে কলকাতায় এখনও সেভাবে মেলেনা কিনোয়া। বড়বড় সুপার স্টোর বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে মিলছে কিনোয়া।