পুবের কলম প্রতিবেদক: পুজোর মধ্যে রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত ১১ দিনে রাজ্যে প্রায় ৯ হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছর তুলনায় এ বছর রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল বৃষ্টি না হলে সেক্ষেত্রে ডেঙ্গি আর বাড়বে না। কিন্তু উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গি যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে স্বাভাবিকভাবে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এই অবস্থায় পুরসভাগুলিকে সতর্ক করেছে প্রশাসন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজার ৪৭৫ জন। সেই জায়গায় গত বছরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। আবার ২০২১ সালে ৮ হাজার এবং ২০২০ সালে ৫ হাজারের কিছু বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছে, এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কতটা বেশি। তার ওপর উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গি বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে। এই অবস্থায় পুরসভাগুলিকে আরও সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। ফলে জল না জমলে নতুন করে ডেঙ্গি মশা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। তবে যে সমস্ত এলাকায় জল আগে থেকেই জমে রয়েছে সে সমস্ত এলাকাগুলির ওপর নজরদারির জন্য পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া মশার উৎসস্থল চিহ্নিত করে সেখানে ডেঙ্গিবাহী মশার লার্ভা নির্মূল করার জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উৎসবের পরেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, বৃষ্টি না হলে আর ডেঙ্গি বাড়ার সেরকম সম্ভাবনা নেই। কারণ বৃষ্টির জলে মশা বংশবিস্তার করে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি না হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে অনুমান ছিল বিশেষজ্ঞদের। তবে উৎসবের সময় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদিও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। বাড়িতে যাতে কোনওভাবেই জল না জমে, সে বিষয়ে পুরসভার তরফেও নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে।