এস জে আব্বাস :
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া।অতি সম্প্রতি রাজ্যের বিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। এদিকে চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে স্কুল ও মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহল থেকে জানা যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি বিশেষত গ্রামবাংলার ছেলেমেয়েদের খুব একটা ভালো নেই। পাশপাশি বিদ্যালয়ে বসে পরীক্ষা দেওয়াতেও সড়গড় নয়। এমতবস্থায় নিজের বিদ্যালয়ের বাইরে অন্য সেন্টারে তাদের পরীক্ষা দিতে যাওয়াটা সত্যিই চাপের বলে মনে করছেন অনেকই। তাছাড়া মহামারি র দুর্বিষহ জীবন কাটিয়ে উঠে জীবনের প্রথম একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বিদ্যালয়ের বাইরে হওয়ায় বিচলিত অভিভাবক মহলও। তাদের দাবি, অন্তত এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষাটা নিজ নিজ বিদ্যালয়ের চেনা পরিবেশেই করলেই ভালো হত। এতে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক অবস্থা অনেকটাই চাঙ্গা থাকত। যদিও শিক্ষা দপ্তর থেকে এখনো পর্যন্ত নিজ বিদ্যালয়ের বাইরেই পরীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং তার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। বেশ কিছু অভিভাবকদের বক্তব্য, উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা যদি নিজ নিজ বিদ্যালয়ে সম্ভব হয়, তাহলে মাধ্যমিকের পরীক্ষা নিজের বিদ্যালয় করতে অসুবিধা কোথায়?এ বিষয়ে বর্ধমান জেলা তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি তপন দাস জানান, মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী এবং বিদ্যালয় অনেক বেশি থাকায় হয়ত পরিকাঠামো ও পরিচালনাগত অসুবিধার কারণে পরীক্ষা চালানো অসুবিধা হতে পারত। তবে এ বিষয়ে পূর্বে আরো জোরালো দাবি উঠলে বিষয়টি নিয়ে ভাবা যেত। এখন যেহেতু পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে তাই এই মুহূর্তে আর কিছু করার নেই।
উল্লেখ্য, এবছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় মাদ্রাসার এমন কিছু পরীক্ষার সেন্টার রয়েছে যেখানে প্রায় ৮০-৯০ কিমি যাতায়াত করে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। ফলে পরীক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে যে দারুণ ক্লান্ত হয়ে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ বিষয়ে ওই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের দাবি, ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ কমাতে পরীক্ষার সেন্টার যাতে কাছকাছি করা যায় তার ব্যবস্থা করা হোক। এ বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষাকর্মী সমিতির রাজ্য সম্পাদক আলি হোসেন মিদ্যা জানান, এই সমস্যার মূল কারণ, জেলায় কাছাকাছি মাদ্রাসার সংখ্যা খুব কম।তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও এমন সমস্যা গুটি কয়েক মাদরাসার। তবে, আমরা আগামী বছর যাতে মাদ্রাসাগুলোর মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র কাছাকাছি করা যায়,তার জন্য মাদ্রাসা বোর্ডকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করবো।