সাকিল আহমেদ: সাধারণত আমরা হালকা সাদা রঙের ফুলকপি কিনে এবং খেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু এখন বাজারে এসেছে হলুদ আর বেগুনি রঙের বাহারি ফুলকপি। বিকচ্ছোও ব্যাপক। বাজারের নতুন অথিতি এই কপির চাহিদা বেশ তুঙ্গে ক্রেতাদের মধ্যে।
ডায়মন্ড হারবার– কুলপি– কাকদ্বীপ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হলুদ এবং বেগুনি রঙের ফুলকপি। শীতের সবজি হিসেবে পুষ্টি গুণে অনন্য এই কপি।
১৮২২ সালে ইংরেজরা ভারতে প্রথম ফুলকপি এনে চাষ শুরু করেছিল। ফুলের মতো সুন্দর দেখতে ফুলকপির পুষ্পাক্ষ আমরা খেয়ে থাকি। পাতা এবং ডাঁটা পশুখাদ্য হলেও শুধু পুষ্টিগুণে ভরা। শুধু ফুলকপি ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে না– পাইলসের যন্ত্রণায় যারা দিশেহারা তাদের ফুলকপি খাবার পরামর্শ দেন দিয়েছেন ডাক্তার বাবুরা। আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় এখন এই রঙিন ফুলকপি চাষ হচ্ছে। হুগলির গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের শ্যামবল্লবপুরের সৌভিক বেরা বেশ কিছুটা জমিতে চাষ করেছিলেন। এখন আরামবাগের বিভিন্ন বাজারে তার চাষের কপি পৌঁছে যাচ্ছে। এই কপি আগে নেদারল্যান্ড– সুইৎজারল্যান্ড– ফ্রান্স ইত্যাদি দেশে চাষ হত। ডায়মন্ড হারবারের মরুইবেরিয়া– কবিরা– মগরাহাটের গ্রামে অনেকেই হলুদ এবং বেগুনি ফুলকপির চারা বসিয়েছে একটু দেরিতে। তাই ফলন উঠতে দেরি হবে। বাজারে সাধারণ ফুলকপি ৫০ টাকা জোড়া পাওয়া গেলেও এই হলুদ বা বেগুনি কপির দাম পড়ছে এক পিস ৫০ টাকা। চাষিদের দাবি– আগামী দিনে দাম কম কমবে।
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন— মলাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি এবং এ জাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন– ফুলকপির কচি পাতা সপ্তাহে এক আউন্সের কিছু বেশি খেলে তার দেহে ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে– ফুলকপির কচি পাতা থেকে সংগৃহীত আইসো থায়োসায়ানেটস নির্যাস প্রয়োগে মেয়েদের বুকের টিউমারের আকার ও সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে– যা ক্যানসারে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ছিল। ফুলকপির পাতায় প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ ক্যালসিয়াম– খাদ্যশক্তি ও আয়রন থাকে।