পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মাদ্রাসাগুলির শূন্য পদে দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি তুলল একাধিক মাদ্রাসার শিক্ষক সংগঠন। বুধবার মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানিয়েছেন– রাজ্যের ৬১৪টি মাদ্রাসার মধ্যে ৫৯৩টি মাদ্রাসায় স্থায়ী প্রধানশিক্ষক নেই। অস্থায়ী শিক্ষকদের নিয়েই চলছে মাদ্রাসার পঠন-পাঠন। উল্লেখ্য– ডিআইদের কাছে মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদের তালিকা চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।
এ দিকে রাজ্যে ৬৩ হাজার ৫৭৫টি সরকার পোষিত স্কুল রয়েছে। তার সিংহভাগ স্কুলেই প্রধানশিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এ রাজ্যে মাদ্রাসাগুলিতে বহু বছর ধরে স্থায়ী প্রধানশিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। ওই সব মাদ্রাসায় দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানালেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে মাদ্রাসার ছাত্র সংসঠনও প্রধানশিক্ষক ও অন্যান্য নিয়োগের দাবিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে।
এ দিকে রাজ্যের বহু মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ৪০০ কিলোমিটার দূরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দশ বছর ধরে কাজ করছেন। কোচবিহারের এক মাদ্রাসায় বিগত দশ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছেন। তাঁর বাড়ি দেগঙ্গায়। অভিযোগ– মাদ্রাসায় শিক্ষক বদলির অনলাইন পোর্টালে আবেদনের সুযোগ থাকলেও আবেদন করাটা খুবই সহজ। কিন্তু ওই আবেদনের প্রিন্ট আউট নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সই ও সিল সহ পুনরায় পোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এতেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষিকা ‘পুবের কলম’ জানান, তাঁর দুই বাচ্চা রয়েছে– বহু সমস্যার কথা বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সংশ্লিষ্ট দফতরের উদ্দেশ্যে তাঁর দাবি– মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। পাশাপাশি বদলির নিয়ম আরও সরলীকরণ করার জরুরি বলে তাঁরা। সেই সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বাধা ছাড়াই বদলি হতে পারে তারও দাবি জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক সংগঠন।
শিক্ষকদের বক্তব্য– স্কুলে বদলির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও এনওসি নিতে হয় না। আর মাদ্রাসা এনওসি বাধ্যতামূলক রয়েছে। এই জটে স্কুলের বদলির ভাগ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে আটকে রয়েছে। সেই সব শিক্ষকদের বদলি এবং ওই মাদ্রাসায় শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।