পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি পুলিশ ‘বুল্লি বাই’ ও ‘সুল্লি ডিল’ মামলায় বিশদ চার্জশিট দাখিল করেছে। এই দু’টি অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের নিলামে তোলা হয়েছিল। এই মানহানি ও হয়রানি নিয়ে দেশে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তারপর এই অ্যাপ তৈরির অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস ইউনিট এই মামলাগুলির তদন্ত করছে। অবমাননাকর সুল্লি ডিলস মোবাইল অ্যাপটি গত বছরের জুলাই মাসে প্রকাশ্যে এসেছিল, যেখানে মুসলিম মহিলাদের ছবি তাদের সম্মতি ছাড়াই অ্যাপে নিলামের জন্য রাখা হয়েছিল। ছয় মাস পরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের হয়রানি ও টার্গেট করার আর একটি অনুরুপ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যখন দিল্লি ভিত্তিক একজন মহিলা সাংবাদিক দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে, তিনি একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তির নিশানায় পরিণত হচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে অ্যাপটির নাম ছিল বুল্লি বাই, যেটি ইউএসভিত্তিক গিটহাব প্ল্যাটফর্মে তৈরি করা হয়েছিল। মামলাগুলির প্রধান অভিযুক্ত নীরজ বিষ্ণোই। তিনি বুল্লি বাই অ্যাপ তৈরি করেছিলেন। সুল্লি ডিল অ্যাপের স্রষ্টা হিসেবে উঠে আসে ওমকারেশ্বর ঠাকুরের নাম। গত ৬ ও ৮ জানুয়ারি দিল্লি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, দিল্লির স্থানীয় আদালতে ৪ মার্চ, শুক্রবার বুল্লি বাই মামলায় ২০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সুল্লি ডিলস মামলার চার্জশিট ছিল ৭০০ পৃষ্ঠার।
সুল্লি ডিল মামলায় দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট ৮ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ (যৌন হয়রানি এবং যৌন হয়রানির শাস্তি) ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা এবং সম্প্রীতি বিনষ্টে ক্ষতিকর কাজ করা, যৌন হয়রানি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে আইটি অ্যাক্টের অধীনেও অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।