পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অমৃতকালে একের পর এক মসজিদ ও মাদ্রাসা বুলডোজ করা হচ্ছে। ঐতিহাসিক স্মৃতি শৌধগুলিকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ৭০০ বছরের পুরনো আখুন্দজি মসজিদ এবং তার সংলগ্ন বাহারুল উলুম মাদ্রাসাওকে এবার বুলডোজের পথে? বহুদিন ধরেই ধর্মনিরপেক্ষ জনমনে ও মুসলিমদের মধ্যে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলি এলাকার এই প্রাচীন মসজিদটি ভেঙে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হবে বলে অনেক দিন ধরেই ছক কষছে পুরকর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়েই প্রাচীন এই মসজিদ ও মাদ্রাসাকে বাঁচাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুসলিম পক্ষ। শুক্রবার এই মামলায় দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ)কে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে বলেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
মেহরৌলির এই এলাকাটিতে বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক স্মৃতিশৌধ রয়েছে। উন্নয়নের কথা বলে সবগুলোই কী গুড়িয়ে দেওয়া হবে। তা নিয়েও বহু দিন ধরেই চলছে চাপানউতর। শুক্রবার শুনানি চলাকালীন স্থানীয় কমিশনার আর্জিতে বলেন, যদি কোর্ট সরজিমিনে দেখে পরিস্থিতি বিবেচনা করত তাহলে ভালো হতো। এ কথা শুনে আদালত ডিডিএকে দায়িত্ব দিয়েছে যাতে তারা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেয়। রমযান শুরুর আগেই এই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। ঐতিহাসিক স্মৃতিশৌধ রক্ষায় যারা মামলা করেছেন তাদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী শামস খাজা। কেবল মুসলিমরা নন, এই ঐতিহাসিক মসজিদটির রক্ষার জন্য অনেকেই আওয়াজ তুলেছেন। তাদের বক্তব্য এটি ভেঙে দেওয়া হলে তা হবে বিরাট বড় ক্ষতি। ৭০০ বছরের প্রাচীন এই মসজিদটি দেখতে ভিড় করেন সব ধর্মের মানুষই। ফলে মসজিদ ও সংলগ্ন মাদ্রাসাটিকে বুলডোজ করা হলে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলে কোর্টে সওয়াল করে শামস। তিনি বলেন, মসজিদটি ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অসামান্য। আদালত ডিডিএকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশে অসন্তোষ প্রকাশ করে আইনজীবী শামস খাজা বলেন, এরকম একটি বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। কেবল মসজিদ কিংবা মাদ্রাসা নয়, এই এলাকার বহু প্রাচীন কবর রয়েছে। সেগুলিও যাতে ধ্বংস করা না হয় তা দেখতে হবে।