পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বেজিংকে রুখতে এবার ভারতের দ্বারস্থ ফিলিপাইন্স (Philippines)। বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মোস (BrahMos) কিনতে নয়াদিল্লির সঙ্গে তাদের চুক্তি চূড়ান্ত হল শুক্রবার। ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তথা ২,৮১৬ কোটি টাকার এই চুক্তি নিঃসন্দেহে চিনকে অস্বস্তিতে রাখবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
শব্দের গতিবেগের চেয়েও তিনগুণ দ্রুত ব্রহ্মোসের গতিবেগ ৪ হাজার ৩২১ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ক্ষিপ্রগতিতে শত্রুর উপরে হামলায় সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি ফিলিপাইন্সের যে প্রবল আস্থা রয়েছে, তা এই চুক্তি থেকে পরিষ্কার। ফিলিপাইন্সের জাতীয় সুরক্ষা বিভাগের তরফে আগেই ‘ব্রহ্মোস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড’-কে ‘নোটিশ অফ অ্যাওয়ার্ড’ পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে স্বাক্ষরিত হল চূড়ান্ত চুক্তি।
একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সুপারসনিক অ্যান্টি শিপ ক্রুজ মিসাইল এটি। আর সেটাই আগামদিনে ফিলিপিন্সের নৌবাহিনীকে (Philippines Navy) আরও শক্তিশালী করবে। ফিলিপাইন্সের এই পদক্ষেপকে দক্ষিণ এশীয় কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের তৈরি করা এই মিসাইল কেনার ব্যাপারে তাদের এই পদক্ষেপ নিশ্চিত ভাবেই চিনকে বার্তা দিচ্ছে, দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসী মনোভাবের পালটা দিতে তৈরি বাকি দেশগুলিও । আগামিদিনে ফিলিপাইন্সের পথে হেঁটে ইন্দোনেশিয়া কিংবা ভিয়েতনামও এই ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে পারে ভারতের থেকে ।
এটাই হতে চলেছে ভারতের প্রথম বড় প্রতিরক্ষা রফতানি । শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রহ্মস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড ফিলিপিন্স প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ২৮ জানুয়ারি । অ্যান্টি শিপ মিসাইল সিস্টেম কিনছে তারা ।
ভারতের মতো ফিলিপিন্সেরও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল। দক্ষিম চিন সাগরে বেজিং আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে। একইসঙ্গে চিনা সন্ত্রাসী জলদস্যু বাহিনী দ্য লিটিল ব্লু-মেনরাও ফিলিপিন্সের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে। ফিলিপাইন মৎস্যজীবিরা তাদের দৌরাত্ম্যের শিকার। নৌসেনা দিয়ে চিনা জলদস্যুদের শায়েস্তা করতে এই অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সিস্টেম কাজে দেবে ফিলিপিন্সের।