পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : মরা মানুষ কি জীবিত হতে পারে?এ প্রশ্ন করলে অনেকে বলেবেন অলৌকিক না হলে সম্ভব নয়।চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। মৃতদেহ ভেবে যাঁকে মর্গের ফ্রিজারে রাখা হয়েছিল, সেই মানুষকেই সাত ঘণ্টা পর জীবন্ত হিসেবে ঘোষণা করল হাসপাতাল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে।
গত বৃহস্পতিবার একটি মোটরবাইক দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে শ্রীকেশ কুমারকে।মোরাদাবাদের বাসিন্দা তিনি । পেশায় বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মী। বয়স ৪০।গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রীকেশকে জেলার হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শ্রীকেশের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শ্রীকেশের ‘দেহ’ রেখে দেওয়া হয় হাসপাতালের মর্গের ফ্রিজারে । সেখানে প্রায় সাত ঘণ্টা ছিল তাঁর দেহ। পরে পরিবারের লোকজনের সন্ধান মেলে। হাসপাতালে আসেন শ্রীকেশের শ্যালিকা। মধুবালা। জামাইবাবুর ‘দেহ’ তিনিই শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য অনুমতিও দেন তিনি। আচমকা মধুবালা খেয়াল করেন, শ্রীকেশের শরীর নড়ছে। তিনিই চিৎকার করে বাকিদের খবর দেন।
মধুবালার চিৎকার শুনেই হাসপাতালের কর্মীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে শ্রীকেশকে মর্গ থেকে বের করে হাসপাতালের শয্যায় স্থানান্তরিত করা হয়। শুরু হয় নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মোরাদাবাদের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেডেন্ট ডা. শিব সিং জানান, ভোর তিনটের সময় এমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার যখন শ্রীকেশের শরীর পরীক্ষা করেছিলেন, তখন তাঁরা তাঁর হৃৎপিণ্ডে কোনও স্পন্দন পাননি । ছিল না সারা শরীরে কোনও প্রাণের লক্ষণ।
চিকিৎসকদের দাবি একাধিকবার শ্রীকেশের শরীর পরীক্ষা হয়। তারপর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাহলে এমনটা কীভাবে হল? তা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও।আপাতত শ্রীকেশের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর খেয়াল রাখাই এখন সবেচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান ডা. শিব সিং। শ্রীকেশের শালিকা বলেন, “তিনি এখনও চেতনা ফিরে পাননি”। আমরা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ দায়ের করব।শ্রীকেশকে ফ্রিজে রেখে তারা মেরেই ফেলেছিল।”