পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দেশে দিন দিন বাড়ছে দলিত নির্যাতন। কোথাও উঁচু জাতের মানুষের জালের পাত্র থেকে জল খাওয়ার জন্য, কোথাও স্নান বা মন্দিরে ঢোকার জন্য কোথাও বা কোনও কারণ ছাড়াই নির্যাতিত দলিতরা। দেশে দলিত মেয়েদের ধর্ষণ করা যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। আর সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উদাসীনতার গল্পও সকলের জানা। এবার এক দলিত নাবালিকার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরও অপরাধীকে গ্রেফতার না করায় আত্মহত্যা করল ওই নির্যাতিতা। বারাবাঙ্কি জেলার হায়দারগড় এলাকার ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। গত ১৭ জুন হায়দারগড় থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। ৪ দিন পেরোনোর পর, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ওই অপরাধীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ যখন দায়িত্ব ভুলে অপরাধীকে গ্রেফতার না করে সময় নষ্ট করছিল, সেই সময় নির্যাতিতাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল অভিযুক্ত যুবক। হুমকির ভয় আর পুলিশি অনীহার জেরে গলায় ফাঁসি লাগায় ওই নাবালিকা বলে জানিয়েছে মৃতার পরিবার।
পুলিশি উদাসীনতার অভিযোগ উঠতেই তদন্তকারী অফিসারকে বরখাস্তকরা হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান রেকর্ড করানোর কথা ছিল ওই দলিত নাবালিকার। কিন্তু তাঁকে বারবার মামলা তুলে নেওয়ার ভয় দেখানোয় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে নির্যাতিতা। বয়ান রেকর্ড করালে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি হতে পারে, সেই ভয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নির্যাতিতা। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এসপি দীনেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।
বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে মুড়ি-মুড়কির মত করে চলছে দলিত নির্যাতন। একদিকে চন্দ্রায়ন-৩ এর প্রস্তুতি চলছে ভারতে। অন্যদিকে দলিতদের প্রতি চলছে নৃশংস নির্যাতন। তাঁদের মেয়েদের পন্য ভাবার মানসিকতা স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও ঘোচেনি। সংবিধান রয়েছে সংবিধানে। দলিত নির্যাতনও চলছে আপন তালে।