পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন সংঘ পরিবারের (আরএসএস) কর্মী বলে জানিয়েছে কর্নাটকের ভিটলা থানা। পলাতক আরও ১। নাবালিকা ও তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম অক্ষয় দেবাদিগা (২৪), কমলাক্ষা বেলছাদা (৩০), সুকুমার বেলছাদা (২৮) ও জয়প্রকাশ। এদের মধ্যে অক্ষয় ও সুকুমারের বাড়ি বেরিপাদাভু এলাকায় ও কমলাক্ষার বাড়ি বেয়ারু গ্রামে।
ঘটনায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা সভাপতি গোপাল কুথার বলেন, সুকুমার ও জয়প্রকাশ বজরং দলের সঙ্গে যুক্ত নন। সেইসঙ্গে কুথার ও বিজেপি জেলা সভাপতি সুদর্শন মুধবিদ্রি জানান, নিন্দনীয় ঘটনা। বিজেপি বা সংঘ পরিবারের পক্ষ থেকে এই ধরনের ঘটনা প্রশ্রয় দেওয়া হয় না।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত অক্ষয় বেরিপাদাভু তার ভাইয়ের বাড়িতে থাকত এবং ছবি আঁকার কাজ করে। কমলাক্ষা প্লাস্টারের কাজ আর সুকুমার চালক। ২০১৯ সালে দলিত সম্প্রদায়ের একটি মেয়েকে জয়প্রকাশ তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে ধর্ষণ করে। গত জানুয়ারিতে অক্ষয় বেরিপাদাভু এলাকায় একটি স্কুলের তাকে কাছে আসতে বলে। সেখানে তিনবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। গত মাসে রাজা নামের অপর এক যুবক দলিত নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেরিপাদাভু বিদ্যাঅরণ্য স্কুলের কাছে আসতে বলে ধর্ষণ করে। গত জুনের প্রথম সপ্তাহে, অক্ষয় তার সঙ্গে সুকুমারের পরিচয় করিয়ে দেয়। এর পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায় সুকুমার। গত ২৮ জুলাই রাতে কমলাক্ষা বেলছাদাও একই কায়দায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বেয়ারু গ্রামে তার আত্মীয়ের খালি বাড়িতে ধর্ষণ করে।