পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: দলিত নিগ্রহের ঘটনা আম্বেদকরের দেশে এখন নিত্যনৈমিত্তিক রুটিনে পরিণত হয়েছে। প্রায়শই দলিতকে মার, খুন, এবং ধর্ষণ-এসব শুনে শুনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে কান। সেই দলিত নিগ্রহের ‘অন্তহীন’ তালিকায় ঢুকে পড়ল আরও একটা ঘটনা। অকুস্থল যোগীমতে ‘ক্রাইম ফ্রি’ উত্তরপ্রদেশ। এবার পিটিয়ে খুন করা হল এক দলিত যুবককে। নাম বিনয় কুমার। বয়স ১৮। সুলতানপুরের বাসিন্দা। জানা গেছে, কাজের প্রাপ্ত মজুরি চাওয়ার অপরাধে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে।
পরিবারের অভিযোগ, দলিত হয়ে ‘বড়বাবু’ অর্থাৎ উচ্চবর্ণের দিগ্বিজয় যাদবের কাছ থেকে কাজের মজুরি চাওয়ার ‘বাহাদুরি’ দেখিয়েছিলেন বিনয়। ব্যাস আর কি! শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত চলতে থাকে নির্মম প্রহার। ২৫ আগস্ট ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ময়নাতদন্তের পর এখনও পর্যন্ত বিনয়ের দেহ তাঁরা পায়নি বলেই জানিয়েছেন।
পুলিশি অভিযোগে মৃতের দাদা শের বাহাদুর জানান, চারদিন ধরে দিগ্বিজয়ের জন্য দিনমজুরের কাজ করছিলেন বিনয়। এদিন কাজ শেষে টাকা চাওয়ায় এই ঘটনা ঘটে। আমার ভাইয়ের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকী কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়েও তাঁর মাথায় আঘাত করেছে তাঁরা। আমার ভাইয়ের অপরাধ একটাই ‘সে দলিত’।
শের বাহাদুর আরও জানান, পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ ছিল বিনয়। নিজের ভরণপোষণের জন্য নানারকম কাজ করতেন তিনি। রাখিতে বোনেদের জন্য উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে দিগ্বিজয়ের কাছে কাজ করছিলেন বিনয়। সেটাই কাল হল তাঁর।
মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় অখন্দনগর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩০২ (হত্যা) এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯-এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দিগ্বিজয় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও দ্বিতীয় অভিযুক্ত এখনও অধরা। চলছে তল্লাশি।