পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। রামাফোসার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে তার নিজস্ব খামার থেকে ৪ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একটি স্বাধীন প্যানেলের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রামাফোসা তার পদের অপব্যবহার করেছেন এবং একটি দুর্নীতি-বিরোধী আইন ভঙ্গ করেছেন। তবে রামাফোসা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন সব অর্থই মহিষ বিক্রি থেকে পাওয়া। প্যানেলের তদন্ত রিপোর্ট পার্লামেন্টে হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার পর আগামী সপ্তাহে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফার্মগেট কেলেঙ্কারির সূত্রপাত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেসময় প্রাক্তন গুপ্তচর আর্থার ফ্রেজার প্রেসিডেন্ট রামাফোসার ফালা ফালা ফার্ম থেকে ৪ মিলিয়ন ডলার চুরির খবর লুকানোর অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জুমার ঘনিষ্ঠ মিত্র ফ্রেজার রামাফোসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অর্থটি দুর্নীতি থেকে আয় করা এবং প্রেসিডেন্ট অপহরণকারী ও চোরদের ঘুষ দিয়েছেন। এত বড় অঙ্কের টাকা ডলারে রাখায় তা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনও লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ। এদিকে, রামাফোসা একটি ডাকাতির বিষয় নিশ্চিত করার পর বলেছেন, চুরির পরিমাণ অভিযোগের চেয়ে কম ছিল। বলেছেন, মহিষ বিক্রি থেকে নগদ পাওয়া প্রায় ৫ লক্ষ ৮০ হাজার ডলার খামারবাড়ির সোফার কুশনের তলা থেকে চুরি হয়েছে। রামাফোসা তদন্ত প্রতিবেদনের জবাবে লিখেছেন, ‘আমি এটি করার জন্য কোনও নির্দেশ দিইনি।’ তবে এখনও ফার্মগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই স্বাধীন প্যানেলের কাছে। তাই রামাফোসাকে ইমপিচ করতে গেলে বা আইনি উপায়ে ক্ষমতা থেকে সরাতে গেলে অনেক তদন্তের প্রয়োজন।