পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: :জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা এক প্রকার ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে! এবার সেই ঘটনাই সামনে এল।
২৯ জুন, এনটিএ (জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা) কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট বা সিইউইটি (ইউজি)-২০২৩ অস্থায়ী ‘উত্তর পত্র’ প্রকাশ করেছে। প্রার্থীরা ১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ‘উত্তর পত্রের’ বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে প্রতি প্রশ্নে ২০০ টাকা দিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এদিকে পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের একটি অংশ দাবি করেছে যে, জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা (এনটিএ) কর্তৃক প্রকাশিত সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য অস্থায়ী ‘উত্তর পত্র’-এ বেশ কয়েকটি উত্তর ভুল ছিল। তবে যাঁরা ফলাফলে সন্তুষ্ট নন, তাঁরা তাঁদের উত্তর পত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ করতে পারেন বৈধ উপায়ে। তাতে ২০০ টাকা ফেরতের অযোগ্য হিসাবে দাম দিয়ে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারা যাবে। যদি কোনও উত্তর ভুল বের হয়, তাহলে ফের ফাইনাল ‘অ্যানসার কি’ প্রকাশিত হবে। প্রতিটি উত্তরকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ২০০ টাকা প্রসেসিং ফি দিতে হবে। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিং এবং পেটিএম-এর মাধ্যমে এই প্রসেসিং ফি দেওয়া যাবে।
এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান জগদেশ কুমার বলেন, জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা (এনটিএ) কিছু উত্তর ভুল হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং এটি ‘টাইপোগ্রাফিক ত্রুটির’ কারণে হতে পারে। এনটিএ দুই দিনের মধ্যে আরেকটি অস্থায়ী উত্তর পত্র প্রকাশ করবে।
এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এই ভাবে ফি নেওয়াকে অন্যায় বলে দাবি করেছেন। তাদের আরও দাবি, মৌলিক প্রশ্নের উত্তরগুলিও ভুল দেওয়া হয়েছিল। এই ভুলের কারণে, আপত্তি জানানোর আগে একটি সংশোধিত উত্তর পত্র জারি করা উচিত।
উমঙ্গ শর্মা বলে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘একটি কাগজে, আমি সাতটি উত্তর ভুল পেয়েছি। এখন যদি আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাই তাহলে আমার ১,৪০০ টাকা লাগবে। আমার কাছে এত টাকা নেই’।
আবার অনেকের বক্তব্য, এই চ্যালেঞ্জ জানানোর পদ্ধতিটিই বেশ কঠিন। অপরদিকে সত্যপ্রিয়া পান্ডে নামে এক অভিভাবিকা জানান, আমার মেয়ে সিইউইটি (ইউজি) পরীক্ষার দিয়েছেন। হিন্দি পরীক্ষায় ৪০টি প্রশ্নের ভুল উত্তর দেওয়া হয়েছিল, ‘হিন্দির উত্তর কী সম্পূর্ণ ভুল। কী করব? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। চ্যালেঞ্জ করার প্রক্রিয়াও খুব জটিল।
আবেদনকারীদের সংখ্যার দিক থেকে সিইউইটি (ইউজি) দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবেশিকা পরীক্ষা। এর প্রথম ক্ষেপে, ১২.৫ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নাম রেজিস্টার করেন, ৯.৯ লাখ পরীক্ষার্থী তাদের আবেদন জমা দিয়েছে।