কাচিন, ১০ মে: এবার আরও চাপে মায়ানমারের জান্তা সরকার। মায়ানমারের কাচিন রাজ্যের ৪টি শহর এবং ৮০টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি। দুই মাসের জান্তা-বিরোধী অভিযানে এসব শহর ও ঘাঁটি দখল করার দাবি করেছে স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি সেনা হারিয়েছে জান্তা সরকার। ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মায়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই সামরিক জান্তাকে প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে অসামরিক ও সামরিক বিদ্রোহীরা। রাখাইন, কাচিন, চিনসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিও। সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার ৩ বছর পর বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি বার্মিজ জান্তা সরকার। সম্প্রতি জান্তা বাহিনী ডথপোনিয়ান, লুয়েগেল, সিনবো ও সামপ্রাবম শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মিকে সহায়তা করেছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স, আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। গত অক্টোবরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা সরকার। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশি আরও দুই দেশ চিন ও ভারতেও পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বার্মিজ সেনারা। এখন সেনাবাহিনীতে সংকট দেখা দেওয়ায় বাধ্যতামূলক সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আইন করা হয়েছে। তরুণ থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত এমনকি রোহিঙ্গাদেরও ধরে ধরে পাঠানো হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে।