ইনামুল হক, বসিরহাট: আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার উন্নতির জন্য ইসলামি শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় রেখে কমপক্ষে একটি করে গুণগত মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে “ভিশন-২০৩০”প্রজেক্ট এর কথা ঘোষণা করল অল ইন্ডিয়া সুন্নাত অল জামাত।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার দিলীপ কুমার মেমোরিয়াল হাই স্কুল মাঠে সংগঠনের সর্বভারতীয় কনভেনশনে ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা সহ আধুনিক শিক্ষার উন্নতির লক্ষ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মাতিন সাহেব।
এছাড়াও তিনি ঘোষণা করেন, ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা প্রদানের জন্য সংগঠনের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২০০০ মক্তব প্রতিষ্ঠা করা হবে। পশ্চিমবাংলার কোন মুসলমান যেন “কুর-আন” শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না থাকে। মুসলিম জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে মাধ্যশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র ও গবেষণাগার স্থাপন করা ও ‘কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ তৈরি করার লক্ষ্যে অল ইন্ডিয়া সুন্নাত আল জামাত কাজ করে যাবে বলে তিনি জানান। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আধুনিক মানসম্মত কমপক্ষে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়।
এছাড়াও স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নিয়েও একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ও উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা ‘কেরিয়ার কাউন্সেলিং’ সহ ‘কাউন্সেলিং ও মোটিভেশানাল’ সেশন এর ব্যবস্থা করার কথাও এদিনের কনভেনশনে তুলে ধরা হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামাজিকভাবে সংবেদনশীল নাগরিক হিসেবে ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকলের প্রতি যাতে দায়বদ্ধ হতে পারে তার উদ্যোগ নেওয়ার কথা উঠে আসে এ দিনের কনভেনশন থেকে।
বক্তব্য রাখেন অল ইন্ডিয়া সুন্নাত উল জামায়াতের সভাপতি ও জামিয়া রহমানিয়ার ডিরেক্টর মুফতী আব্দুল কাইউম সাহেব, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাপতি ও বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, জেলা পরিষদের সদস্য বুরহানুল মোকাদ্দিম (লিটন), জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, প্রাক্তন বিধায়ক ডা: মোত্তর্জা হোসেন, সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্যের প্রতিনিধি আশিক বিল্লাহ, সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মাওলানা কামারুজ্জামান, অধ্যাপক আলোক চক্রবর্তী, বিজয় উপাধ্যায়, সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস, ছোটন দাশ, ডা: মুস্তফা আব্দুল কাইউম, মুফতি রজব আলী সহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, সারাদেশে সংগঠনের ১৭ হাজার সদস্যের মধ্যে এদিন আমন্ত্রিত ৫০০০ সদস্যের উপস্থিতিতে কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়়।
এছাড়াও এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মুফতি আব্দুল কাইউম সাহেবের দোওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি হয়।