১) গাজায় ইসরাইলি আক্রমণে নিহতের সংখ্যা ৮০০০ অতিক্রম করেছে। আর গুরুতর আহতের সংখ্যা ২১,৮০০। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, ইসরাইলি বোমাবর্ষণে যারা ধ্বংস স্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে তাদের সংখ্যা এই পরিসংখ্যানে যোগ করা হয়নি। গুরুতর জখমদের সম্পর্কে একই কথা প্রযোজ্য। আহতদের কোনও চিকিৎসার উপায় নেই। কারণ, গাজায় নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এবং সরঞ্জাম, নেই বিদ্যুৎ ও পানি। আল-আহলি হাসপাতালের পর আরও হাসপাতালে হামলা হয়েছে। কাজেই ‘আমরা হামলা করিনি’ ইসরাইলের পরবর্তী আচরণে এই কথাগুলিও মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে।
২) ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেদের সেনা অফিসারদের দায়ী করে যে ট্যুইট (বর্তমানে এক্স হ্যান্ডেল) করেছিলেন পরে সমালোচনার মুখে তিনি তা ডিলিট করে দিয়েছেন।
৩) নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর পুরো দখলের সময়কাল লম্বা হতে পারে। আর স্থলযুদ্ধেও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
৪) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, যেভাবে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, বিমান বহর নিয়েও এখনও ইসরাইল গাজায় স্থলযুদ্ধে জয়লাভ করতে পারেনি তাকে হামাসের ‘দ্বিতীয় বিজয়’ বলে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাঁর মতে, প্রথম বিজয় ছিল ‘আল-আক্সা স্ট্রম’ অপারেশন।
৫) শনিবার লন্ডনে সরকারি আপত্তি উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের পক্ষে ও যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিরাট মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বলছে, ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ সেন্ট্রাল লন্ডনে এই বিরাট মিছিলে শরিক হন। এছাড়া স্কটল্যান্ডেও বেশ কয়েকটি বড় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬) গাজা হামলার আগে আমেরিকা ও ইসরাইলের পক্ষে ছিলেন সউদি শাসক প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান। কিন্তু যেভাবে ইসরাইল বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও শিশুদের হত্যা করছে, পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য জখম করছে, অবরোধ-দীর্ণ গাজায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার, ওষুধপত্রের জোগানের উপর অবরোধ চাপিয়ে রেখেছে, তাতে ২৩ লক্ষ গাজাবাসী এমনিতেই মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। সউদি আরবের জনগণ এর বিরুদ্ধে যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তার রেশ গিয়ে পৌঁছেছে সউদি শাসকদের কাছেও।
রবিবার সউদি আরবের বিদেশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় ইসরাইলের চালানো যেকোনো ধরনের স্থল অভিযানের কঠোর নিন্দা করছে তারা। কারণ, এ ধরনের অভিযান ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জান-মালের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে এভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালানো হলে তা বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করবে। এছাড়াও এই সমগ্র অঞ্চলে স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে এই হামলা গুরুতর প্রভাব ফেলবে।
৭) লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা মিসগাভ এম-এ জিওনিস্ট ইসরাইলিদের দখলদারি কেন্দ্রের উপর হামলা চালিয়েছে। তাতে ইসরাইলিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।