পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:দিল্লি-কলকাতার পর এবার হায়দরাবাদে মহামারির রূপ ধারণ করেছে চোখের রোগ কনজাংটিভাইটিস। ভাইরাসঘটিত এই রোগ একজনের কাছ থেকে ছড়াচ্ছে আরেকজনের কাছে। কোনও পরিবারে সব সদস্যই আক্রান্ত হয়েছেন কনজাংটিভাইটিসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে অ্যাডিনোভাইরাসের নয়া স্ট্রেইনের ফলেই এই রোগ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বড় থেকে ছোট সকলকেই পরিষ্কার-পরিছন্নতা বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞরা।
হায়দরাবাদের আই কেয়ার সুপার স্পেশালিটি চক্ষু হাসপাতালের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৈয়দ মাজ মহিউদ্দিন এদিন সংবাদমাধ্যমে জানান, বর্ষায় দু’ধরনের চোখের সংক্রমণে মানুষ আক্রান্ত হন। একটা হল এলার্জি, অন্যটি ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস। এটি ভাইরাসঘটিত রোগ।
একজন এই রোগে আক্রান্ত হলে মনে রাখবেন, আক্রান্তের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কনজাংটিভাইটিস হলে চোখে ঘন ঘন হাত দেওয়া ঠিক হবে না। ওষুধ দেওয়ার সময় ছাড়া চোখে যেন হাত না যায়। ওষুধ কিংবা ড্রপ দেওয়ার পর হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। ওই হাত অন্য কোথাও স্পর্শ করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগীর জামাকাপড়, তোয়ালে, চশমা, বালিশ, বিছানার চাদর অন্য কেউ ব্যবহার না করাই ভাল। এ সময়ে বেশি টিভি, ফোন না দেখাই ভাল। টিভি, ফোনের আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ
১ চোখ লাল হওয়া
২ চোখে জল
৩ চোখে চুলকানি, এবং অস্বস্তি
এই ধরনের সংক্রমণ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। না হলে ভবিষ্যতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।