পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল রাজ্যসভাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, আপ কি সর্বাধিক আসন লাভ করবে, বিজেপি পঞ্জাব থেকে একমাত্র আসন হারাবে! কি বলছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকদের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এখনও সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাব বোধ করবে। বিজেপি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর দলের সঙ্গে জোট বেধে মাত্র দুটি আসন পেতে পারে।
অন্যদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। পঞ্জাব থেকে বিজেপির একটি আসন রয়েছে এবং আপ এই রাজ্যের সংসদের উচ্চকক্ষে শূন্য আসনে রয়েছে।
পঞ্জাবে অভূতপূর্ব জয় পেয়েছে আপ। পাঞ্জাব থেকে রাজ্যসভার পাঁচটি আসনের জন্য প্রথম ধাপের নির্বাচন মার্চে শেষ হবে এবং বাকি আসনগুলিতে জুলাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ হবে।
নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, ছয়টি রাজ্যের ১৩টি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হবে। আপ ১১৭-সদস্যের পঞ্জাব বিধানসভায় ৯২ টি আসন জিতেছে। দিল্লি থেকে সংসদের উচ্চকক্ষে তাদের মাত্র তিনজন সাংসদ রয়েছে।
পঞ্জাবে রাজ্যসভা পাঁচটি আসনের মধ্যে যা ভোট হবে, বর্তমানে দুটি কংগ্রেসের (প্রতাপ সিং বাজওয়া এবং শমসের সিং দুল্লো), দুটি শিরোমণি অকালি দলের (সুখদেব সিং এবং নরেশ গুজরাল) এবং একটি বিজেপির (শ্বেত মালিক) কাছে রয়েছে।
পঞ্জাবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আপ সহজেই ৯২ জন বিধায়ক নিয়ে চার প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করবে। পঞ্জাবের অপর একজন পর্যবেক্ষক বলছেন, ক্রশ ভোটিং হলে আরও বেশি আসন পেতে পারে।
প্রার্থী বাছাইয়ে ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই দলের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে আপ। তাৎক্ষণিক কাজ হল প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা। কারণ মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় কংগ্রেস। কারণ মার্চের শেষ নাগাদ সংসদের উচ্চকক্ষে তাদের আসন ৩১-এ নেমে যেতে পারে। আসন্ন নির্বাচনে অসমে আরও দুটি এবং হিমাচল প্রদেশে আরেকটি আসন হারাতে পারে কংগ্রেস। এদিকে আবার কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা সংসদের উচ্চকক্ষ থেকে অবসর নিচ্ছেন। এই অবস্থায় দিল্লির এক পর্যবেক্ষকের আশঙ্কা, কংগ্রেস রাজ্যসভায় প্রধান বিরোধী দল হিসাবে তারা মর্যাদা হারাতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এখনও উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে পড়তে পারে। অন্যদিকে একজন পর্যবেক্ষকের কথায় ভোটের ফলাফল রাজ্যসভার ওপরে বেশি পরিবর্তন আনবে না। এর অর্থ বিজেপিকে সমমনস্ক দল যেমন বিজেডি (বিজু জনতা দল), যুব-শ্রমিক-কৃষক কংগ্রেস পার্টি(ওয়াইএসআরসিপি), এআইএডিএমকে পার্টির ওপরে নির্ভর করতে হবে।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে। ৩১ মার্চ ভোট গণনা শুরু হবে বিকাল ৫টা থেকে।