পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবমাননার জেরে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং ‘বয়কট মালদ্বীপ’। তাবড় তাবড় তারকা থেকে আমজনতা সকলেই একই সুরে বলছেন, ছুটি কাটাতে মালদ্বীপ নয়, এবারের গন্তব্য হোক লাক্ষাদ্বীপ। একমত দেশের আমজনতাও। মালদ্বীপের টিকিট কাটা থাকলেও তা বাতিল করে দিচ্ছেন অনেকে।পাশাপাশি মালদ্বীপের বুকিং বাতিল করে দিয়েছে একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি। এই আবহে পাঁচ দিনের চিন সফরে গিয়েছেন মালদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জু।
ভারতীয় পর্যটকদের এহেন সিদ্ধান্তে বেকায়দায় পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে চিনের কাছে আরও বেশি পর্যটক পাঠানোর আবেদন জানান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘করোনা-পূর্ববতী সময়ে চিন আমাদের এক নম্বর বাজার ছিল। আমি অনুরোধ করব চিন থেকে যেন আরও পর্যটক পাঠানো হয় মালদ্বীপে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ভারত থেকেই সব থেকে বেশি সংখ্যক পর্যটক মালদ্বীপে বেড়াতে যান। অথচ সেই দেশের নেতা-মন্ত্রীরাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অপমান করেছেন। যা ভালো চোখে নেন নি দেশের নাগরিকরা।
গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘চিনপন্থী’ নেতা তথা ‘পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস’-এর প্রধান মহম্মদ মুইজ্জু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে একের পর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যা নিয়ে নয়াদিল্লি-মালে কূটনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়ছে। এই আবহে সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন মোদি। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়।
অভিযোগ, মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী, মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কিছু ছবিতে মোদিকে ইসরাইলের ‘দালাল’ , ‘পুতুল’ এবং ‘জোকার’ বলে কটাক্ষ করেন। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে পোস্টগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে দেশের মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন মুইজ্জু সরকার। এই অবস্থায় মালদ্বীপ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, চিন সফরের পরেই মোদির সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাবেন মুইজ্জু।