পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: তখনও ২৪ ঘন্টা পার হয় নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরতে পারবে শুনে সবে হাসি ফুটেছে মুসকানদের মুখে। তার মধ্যেই গেরুয়া চোখ রাঙানি দেখে পাল্টি খেলেন ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ সিদ্ধারামাইয়া। শুক্রবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা নিজের ইচ্ছায় খাবেন, নিজের ইচ্ছায় পরবেন। হিজাবে নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। আপনারা হিজাব পরে স্কুলে যেতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা শোনার পর তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে বিজেপি। মুসলমান তোষণ, শরিয়া আইন চালুর কথা বলতে থাকে তারা। এসব শুনেই ইউ টার্ণ নিলেন সিদ্ধরামাইয়া। শনিবার তিনি বলেন, হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। এই বিষয়ে ভেবে দেখবে তার সরকার। বিষয়টি বিবেচনাধীন। এদিন তিনি বলেন, মাইসুরুতে আমি একটি জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলাম। তখন আমাকে একজন ব্যক্তি হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করেছিল। তার প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলাম, সরকার এই বিষয়টি ভেবে দেখবে।
শনিবার যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, এবছর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে কিনা, সিদ্ধারামাইয়া বলেন, সরকারি স্তরে এই নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই সম্পর্কিত অন্য কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি তিনি।
বিজেপি আর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের চোখ রাঙানি দেখেই হঠাৎ নিজের অবস্থান ১৮০ ডিগ্রি বদলে নিলেন কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কেন্দ্রীয় নেতা গিরিরাজ সিং শুক্রবারের হিজাব সিদ্ধান্তের কথা শুনে বলেন, কর্ণাটকে শরিয়া আইন চালু হবে। রাহুল গান্ধি, কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া ক্ষমতায় এলে দেশে ইসলামিক আইন চালু হয়ে যাবে। রাজ্য বিজেপির চুনো পুঁটি নেতারাও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তোলে। অনেকে দাবি করতে থাকেন, যদি হিজাব পরে স্কুলে যাওয়া যায়, তাহলে গেরুয়া চাদর পরে হিন্দু ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন তারা। এসব দেখেশুনে ভয় পেলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া? এই প্রশ্ন উঠছে।