পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্য পরিচালিত সিভিল সার্ভিস কোচিং সেন্টারে মুসলিমদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এবার এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যেকে নোটিশ পাঠাল কেরল হাইকোর্ট।
স্টেট ইন্সস্টিটিউট অফ ক্যারিয়ার স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (আইসিএসআর), দ্য সেন্টার ফর কন্টিন্যুয়িং এডুকেশন কেরালা (সিসিইকে), কেরালা স্টেট সিভিল সার্ভিস অ্যাকাডেমিকে নোটিশ পাঠাল কেরল হাইকোর্ট।
বুধবার কেরল হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দ্য ইন্সটিটিউট অফ ক্যারিয়ার স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
বিচারপতি এস মণিকুমার ও বিচারপতি সাজি পি চালির ডিভিশন বেঞ্জ আইসিএসআর সহ কাউন্টিং এডুকেশন কেরালা (সিসিইকে), ও কেরল রাজ্য সিভিল সার্ভিস অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে এই নোটিশ জারি করেছে।
আইসিএসআর-এর এই সংরক্ষণকে অসাংবিধানিক বলে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলাটি কেরল হাইকোর্টে দায়ের হয়। মুসলিম প্রার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি,আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে।
সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, আইসিএসআর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ফি মকুব করে দিয়েছে। সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র তাদের প্রার্থীদের ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ মঞ্জুর করতে পারে না। এক্ষেত্রে সংবিধানের ১৪ ও ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হয়েছে।
কেরলে মুসলিমদের এসইবিসি ও ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আবেদনে বলা হয়েছে যে আইসিএসআর-এর দেওয়া এই সংরক্ষণ এসইবিসি ও ওবিসি সংরক্ষণের তালিকা মেনে হয়নি। এই সংরক্ষণ মুসলিমদের তাদের ধর্মের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। আদালতে আরও বলা হয় যদি এটি ধরে নেওয়া যায়, মুসলিমদের এসইবিসি ও ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাহলেও অন্যদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়কে সংরক্ষণ করা অসাংবিধানিক। এই ধরনের কর্মসূচী সংখ্যালঘুদের জাতীয় কমিশন আইন ১৯৯২ লঙ্ঘন করে।
জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অযাচিতভাবে এই নির্দিষ্ট সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা ধর্মনিরপেক্ষতার সাংবিধানিক মূল্যের বিরুদ্ধে। রাজ্য কখনই কোনও রাজনৈতিক দলের তাদের কার্যসিদ্ধির জন্য অনৈতিক কাজ কর্মকে মদদ দিতে পারে না।