পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Chief of Defence Staff General Bipin Rawat) ‘চিন’ নিয়ে করা মন্তব্যকে ঘিরে ক্ষুব্ধ ড্রাগনের দেশ। সম্প্রতি বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘চিন সেনা ও তাদের আগ্রাসনই এখন ভারতের পক্ষে সব থেকে বড় হুমকি। আর এর পরেই তাঁর করা মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভয়াবহ’ বলে মন্তব্য করে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চিন।
চিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গাইডলাইন ভঙ্গ করেছেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এমনকি চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকেও কার্যত ক্ষোভের সুরে জানানো হয়, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভয়াবহ মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্প্রতি, ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত মন্তব্য করেন, চিনা সেনা এবং তাঁদের আগ্রাসনই এখন দেশের জন্য সব থেকে বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে নয়া দিল্লি থেকে কয়েক হাজার ভারতীয় সেনার যে দল এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ডি-ফ্যাক্টো হিমালয় সীমান্ত সুরক্ষিত করতে পাঠানো হয়েছিল তা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সেনা ঘাঁটিতে ফিরতে পারবে না।
বিপিন রাওয়াত বলেন, পাকিস্তানের চেয়েও চিন ভারতের ক্ষেত্রে বড় থ্রেট। স্থল সীমান্তই হোক কিংবা জলে, ভারত সব রকমভাবে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, চিন কি ভারতের এক নম্বর শত্রু? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, কোনও সন্দেহ নেই। এমনকি বিপিন রাওয়াত দাবি করেন, বিশ্বাস ও সন্দেহের একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এই মন্তব্যের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় চিনে। জোরালো ক্ষোভ প্রকাশ করে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র কর্ণেল ওয়াউ কোয়েন বলেন, স্ট্র্যাটেজিক গাইডলাইনকে ভঙ্গ করেছে এই মন্তব্য। এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, ভয়াবহ ও প্ররোচনামূলক। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে চিনের অবস্থান খুব স্পষ্ট। চিনের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। শান্তিও বজায় রাখছে তারা। আমাদের আশা চিন ও ভারত যৌথভাবে এই শান্তি বজায় রাখবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে জুন মাসে লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তে প্রায় ৩৪৮৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার ২০ জন সদস্য এবং চিনা সেনার ৪ জন সদস্য শহিদ হন। এরপর থেকেই ভারত-চিন সীমান্ত মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের কাছে।