পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ টানটান উত্তেজনা ছিলই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ভারত-চিনের বৈঠক কতটা ইতিবাচক হবে, তা নিয়ে সংশয়ের বাতাবরণও ছিল। বাস্তবে সেই সংশয়, অনিশ্চয়তাই সত্যি হল। ভারত-চিন সেনা পর্যায়ের প্রায় আটঘণ্টা আলোচনার পরও মিলল না সমাধান সূত্র। সেনা সরানো নিয়ে দু’পক্ষই অনড়। ফলে ভেস্তে গেল বৈঠক। উলটে ভারতের দাবিকে ‘যুক্তিহীন’ অ্যাখ্যা দিয়ে এই আলোচনার পথে বাধা হিসেবে দেখিয়েছে চিন। তাতে ক্ষুব্ধ নয়া দিল্লি।
বৈঠকের আগেই ভারতীয় সেনাপ্রধান এমএম নারবানে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন চিন যদি সেনা না সরায় তা হলে ভারতও সেনা সরাবে না। রবিবার প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টার বৈঠকে কোনও সামধানসূত্র না বেরোনোয় পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হল। ভারতের দাবি, একটা গঠনমূলক আলোচনার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল চিনের কাছে। কিন্তু তাদের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয়নি চিন। এবং কোনও ভাবেই সহযোগিতা করতে চায়নি। ফলে সেনা সরানোর বিষয়টি আপাতত বিশ বাঁও জলেই রইল। সঙ্গে উত্তাপও বাড়ল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়।
চিন সেনা সূত্রে দাবি, ভারত যে দাবি তুলছে, তা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন এবং কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। আর সেটাই মীমাংসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্রের বক্তব্য, নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে অত্যন্ত কড়া মনোভাব চিনের। এই অবস্থায় ভারতেরও উচিত, প্রতিবেশী দেশকে পদক্ষেপকে ভুল না বোঝা। দু’দেশের সেনারই উচিত, নিজেদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তবেই মীমাংসা করা।
সেনা সরানোর বিষয়ে কোনও রফাসূত্র না বেরোলেও দু’দেশের সেনাই নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি মাথায় রেখে এই সমস্যা নিয়ে দ্রুত সমাধানের রাস্তায় হাঁটবে। পাশাপাশি, দু’দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা-ও মেনে চলবে।’
চিন সেনা সূত্রে দাবি, ভারত যে দাবি তুলছে, তা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন এবং কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। আর সেটাই মীমাংসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্রের বক্তব্য, নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে অত্যন্ত কড়া মনোভাব চিনের। এই অবস্থায় ভারতেরও উচিত, প্রতিবেশী দেশকে পদক্ষেপকে ভুল না বোঝা। দু’দেশের সেনারই উচিত, নিজেদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তবেই মীমাংসা করা।
এক বছরের বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত বছর জুনে সীমান্তে দু’দেশের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হন।