পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : শৈশব বিপন্ন! অতি কৌশলে চকোলেটের মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোরদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নেশার দ্রব্য। এই ঘৃণ্য কাজ করছে বেশ কিছু ছিদ্রান্বেষী মানুষ। উত্তরভারত, বিশেষত উত্তরপ্রদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে এক ধরনের গাঁজা (মারিজুয়ানা) মেশানো চকোলেট।
কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশ সূত্রে খবর, মারিজুয়ানা বা গাঁজা চকোলেটের মধ্যে ঢুকিয়ে বিক্রি হচ্ছে। দাম ২০ টাকা। শিশুদের এই ধরনের চকোলেটের প্রতি আসক্তি বাড়ছে। চকোলেটের জন্য সন্তানদের বার বার বায়না, ব্যবহারে অসঙ্গতি ভাবিয়ে তুলেছে অভিভাবকদের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশ দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ৮৫ ও ৩৫ কেজি মিলিয়ে মোট ১২০ কেজির মাদক ভরা চকোলেট উদ্ধার করে। দুটি দোকানের দুই বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কুলদীপ জৈন জানিয়েছেন, আমরা মঙ্গলবার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি রিপোর্ট হাতে পেয়েছি, সেখানে গাঁজার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই ধরনের মাদকমিশ্রিত চকোলেট মূলত আমদানি হচ্ছে উত্তর ভারত, বিশেষত উত্তরপ্রদেশ থেকে। ধৃতদের মধ্যে একজনকে ম্যাঙ্গালুরু উত্তর থানা ও অপরজনকে ম্যাঙ্গালুরু দক্ষিণ থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি রায়চুরেও একইভাবে মাদকভরা চকোলেট বিক্রি হচ্ছিল। সেখান থেকেও দুজন বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনার পিছনে খুব বড়সড় একটি চক্র কাজ করছে। মাস্টারমাইন্ড ও অন্যান্যদের সন্ধানে খোঁজ চালানো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, শিশুদের চকোলেটের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। তাই মারিজুয়ানার মতো গাঁজা তার মধ্যে ঢুকিয়ে যেভাবে বিক্রি হচ্ছে, তা আগামীদিনে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনবে। আরও আতঙ্কের কথা শুনিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস মুজাহিদ হুসেন। চিকিৎসক মুজাহিদের কথায়, একবার শিশুরা যদি এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে তাদের সেই আসক্তি থেকে বের করা খুবই কঠিন। সন্তানদের ওপরে কড়া নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের।