পুবের কলম প্রতিবেদকঃ লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কিছুটা হলেও উত্তরবঙ্গের পায়ের তলার হারানো মাটি ফিরে পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এসবের মধ্যেই আবার সেখানে আলাদা রাজ্যের দাবি উঠেছে। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো বারবার বলেছেন, রাজ্য ভাগের রাজনীতিতে সমর্থন নেই তার। বরং লক্ষ্য হোক উন্নয়ন। উন্নয়নের ডালি নিয়ে আবার উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রাখতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য ভাগের রাজনীতির জবাব উন্নয়নের মাধ্যমেই দিতে চান তিনি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে যাবেন তিনি। ৯ সেপ্টেম্বর তার ফিরে আসার কথা। এই তিনদিন উত্তরবঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।
এবার মুখ্যমন্ত্রী এমন সময় উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রাখতে চলেছে যে সময় সেখানে ভরা বর্ষার মরশুম। সেক্ষেত্রে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারেন থেকে।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকরা বারবার উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত হিসাবে তুলে ধরে আলাদা রাজ্যের দাবি জানাচ্ছেন এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদক্ষেপ কি হতে চলেছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিশেষ করে উনিশের ভোটে উত্তরবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত খালি হাতেই ফিরিয়েছিল। সেখানকার ৮টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই পরাস্ত হন জোড়াফুলের প্রার্থীরা। বিজেপি সেখানে সেই সময়ে ৭টি আসনে জয়ের মুখ দেখেছিল। সেই ফলাফলের পরেও মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য উত্তরবঙ্গকে দূরে ঠেলে দেননি। বরঞ্চ সযত্নে তাকে আগলে রেখেছেন। তার জেরেই একুশের নির্বাচনে মালদা আর উত্তর দিনাজপুরে খুব ভালো ফল করতে পেরেছে তৃণমূল। আসন এসেছে দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলা থেকেও। শুধু তাই নয় উত্তরবঙ্গের ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৫টিতেই এখন এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। এবার ভোটের পরে উত্তরবঙ্গ গিয়ে সেখানকার মানুষদের জন্য কোন উপহারের ডালি তুলে দেন সেই দিকেই লক্ষ্য সকলের।