পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার ঘটনায় স্কুলের শিক্ষিকা সহ উপাধ্যক্ষকে বরখাস্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করে শিক্ষা অধিদফতরকে শিশুদের জন্য সহায়ক পরিবেশে নির্যাতনের ঘটনাগুলি পরিচালনা করার জন্য স্কুলগুলির জন্য নির্দেশিকা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দিল্লির স্কুলগুলির মাধ্যমে সারা দেশে শিক্ষার এক মাণদণ্ড স্থাপন করাই তাদের লক্ষ্য। চারিত্রিক উন্নতি তা বাইরে নয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, এই ধরনের ঘটনা এড়াতে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতীশি শিশু সুরক্ষা আইনের অধীনে সমস্ত অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের কঠোর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে শিক্ষা অধিদফতরে চিঠি লিখেছেন।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে সামার ক্যাম্প চলাকালীন দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে ১২ এবং ১৩ বছর বয়সী দুই ছাত্র যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। দুই ছাত্রের অভিযোগ, সব কিছু জেনেও তাদের এই বিষয়ে মুখ খুলতে বারণ করেন দুই শিক্ষক। গত ২৭ আগস্ট নির্যাতিত দুই ছাত্রের বাবা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশ এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনার বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন।
স্কুলটি উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণী এলাকায়। ১৩ বছরের নির্যাতিত ছাত্রের অভিযোগ, সামার ক্যাম্প চলাকালীন ৫ থেকে ৬ জন সহপাঠী তাকে জোর করে কাছের এক নির্জন পার্কে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করে। সাতদিন ধরে নিয়মিত অত্যাচার চলে। ১২ বছরের ছাত্রটিও একই ছাত্রদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছে। ১২ বছরের ছাত্রের অভিযোগ, সপ্তাহ দুয়েক আগে ফের তাঁকে স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার চালানো হয়। ওই ছাত্রের অভিযোগ, তার মা যখন এই বিষয়ে স্কুলে কথা বলতে গিয়েছিলেন, তাঁকে মুখ খুলতে বারণ করেন প্রধান শিক্ষক।