পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ গত ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ থাকার পর বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়েই বালমোরাল প্রাসাদে পৌঁছে যান রানির চার ছেলে-মেয়ে যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ এডওয়ার্ড (৫৮)। চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়ামও পৌঁছান। আমেরিকা থেকে ছুটে আসেন উইলিয়ামের ভাই হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান। তারপরই আসে রানির মৃত্যুর খবর।নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের বড় ছেলে যুবরাজ চার্লসই হলেন ইংল্যান্ড এবং ১৫টি কমনওয়েলথ দেশের রাজা। ‘কুইন কনসর্ট’ হলেন তাঁর স্ত্রী ক্যামিলা। ৭৩ বছর বয়সি চার্লস ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের যুবরাজ হন। তাঁর উপাধি ‘প্রিন্স অব ওয়ালেশ’ এখন যাবে তাঁর বড় ছেলে উইলিয়ামের মাথায়।
রানি মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পরেই লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের রাজা ঘোষিত হয়েছেন। রাজা তৃতীয় চার্লসের শুক্রবার সন্ধ্যায় এক আবেগপূর্ণ প্রথম ভাষণে তার ‘প্রিয় মায়ের’ নিষ্ঠাপূর্ণ কর্মজীবন অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি এদিন আরও জানান, তার মা তাঁর জীবদ্দশায় যেরকম ‘অটল ভক্তি’ দিয়ে জাতির সেবা করেছেন, নিজেও তা অনুসরণের অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য, এদিন তৃতীয় চার্লসের পরনে ছিল সাদা-কালো পোশাক, সামনে দফতরি কাগজপত্র, পাশেই তাঁর মায়ের অর্থাৎ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি। লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এভাবেই দেখা গিয়েছিল ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসকে। একেবারে নতুন রূপে। মায়ের আদর্শকে পাথেয় করে পথচলা শুরু করলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রথম সন্তান। শনিবার রাজপরিবারের নিয়ম মেনে রাজসিংহাসনে স্থলাভিষিক্ত করা হল। সেইসঙ্গে ৭০ বছরের এক যুগের অবসানে নতুন যুগের সূচনা হল। পাশাপাশি, চার্লসের জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেট মিডলটন ‘ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ ওয়েলস’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক পরিচয় পেলেন।