দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন : অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট বিশ্বভারতীর। এই চার্জশিটের কপি অভিযুক্ত অধ্যাপককে ধরানো হয়েছে সেই চিঠি। শুধু তাই নয়, সেই চিঠিতে আগের শোকজগুলোর সংযোজন করা হলেও, চার্জশিটের সাপেক্ষে অভিযোগের প্রামাণ্য হিসেবে কোন বক্তব্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া যায় নি।
সূত্রের খবর মূলত আন্দোলনে ছাত্রদের প্ররোচনা দেওয়া, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মী আইন সহ একগুচ্ছ অভিযোগ এনেই এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। অধ্যাপককে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে লিখিত জবাব জমা দেওয়ার জন্য। অধ্যাপককে আত্মপক্ষ সমর্থনে চার্জশিটের জবাবি উত্তরে তদন্ত কমিটির সামনে শুনানিতে তিনি উপস্থিত থাকতে ইচ্ছুক কিনা জানাতে হবে। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত অধ্যাপক যদি কোন চিঠি না দেন, হাজির না হন বা কোন ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বা নির্দেশনামায় উল্লিখিত কোন নির্দেশ না মানেন তদন্ত কমিটি এক তরফা ভাবে তার বিরুদ্ধে বিধিসম্মত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এক্ষেত্রে তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারে এমন কোন বক্তব্য রাখা থেকেও তাঁকে নিষেধ করা হয়েছে।
এই চার্জশিটের ব্যাপারে ভি বি উফার ( বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন ) এক অধ্যাপক বলেন, পরিকল্পিত ভাবেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বুধবার থেকে চারদিনের ছুটি নিয়েছেন। যেহেতু শেষ নোটিশের সঠিক প্রামাণ্য তাঁর কাছে নেই, তিনি দিল্লি ছুটেছেন ম্যানেজ করতে। কমিটি ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে। মহালয়ার আগের এবং পরের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে। তার মধ্যেই উপাচার্যর ক্যাঙারু কোর্ট বসবে এবং অভিযুক্ত অধ্যাপককে দোষী সাব্যস্ত করে পুরোপুরি কর্মজীবন থেকে বহিষ্কার করা হবে। জারি করা এই চার্জশিট সেই পথকে সুগম করবে। কিন্তু, অভিজিৎ সেন ভার্সেস বিশ্ববিদ্যালয় চলা মামলার ওই সি সি এস সঙ্ক্রান্ত বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সি সি এস রুল লাগু না করার উল্লেখ রয়েছে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন বা সি সি এস রুল ভাঙার অভিযোগ আনা হচ্ছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। আসলে মহালয়ার একদিন পর একমাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজার ছুটি পড়ে যাবে এবং একইভাবে কোর্টেও ছুটি পড়ে যাবে। ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ধরণের আন্দোলন বন্ধ থাকবে এবং আইনী সুরক্ষা কবচ পাবেন না অভিযুক্ত অধ্যাপক। এই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
যদিও ভি বি উফার এই আশঙ্কা মানতে চান নি বিশিষ্ট আইনজীবী সামিম আহমেদ। তিনি বলেন, চার্জশিট দেওয়া হলেই, কাউকে বহিষ্কার করা যায় না। তার আগে অনেকগুলো পদক্ষেপ আছে। যাইহোক, তার আগে আদালতে এই চার্জশিট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।