পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-২৪ নিয়ে উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। সংখ্যালঘুরা সেই অন্ধকারে। সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ অর্থে কোপ পড়েছে ১৯২৩ কোটি টাকারও বেশি। বাজেটে তাদের জন্য রাখা হয়েছে মাত্র ৩০৯৭.৬০ কোটি টাকা। আগে, সংখ্যালঘুদের বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ৫০২০.৫০ কোটি টাকা। তবে, এই বছরের বরাদ্দ ২০২২-২৩ সালের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে বেশি। সেবার বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৬১২.৬৬ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী সীতারামন বলেছেন, চলতি বছরের বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ দিকে নজর দেওয়া হয়েছে যেমন নারীর ক্ষমতায়ন, পর্যটন, ‘বিশ্বকর্মা’ বা কারিগরি ও সবুজ প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। কিন্তু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এই বাজেটের সমালোচনা করে বলেছেন, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি ও ধনী-দরিদ্র বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই বাজেট দিশাহীন। সংখ্যালঘু খাতে বরাদ্দ কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে অল ইন্ডিয়া মুসলিম মজলিশে মুশওয়ারাতের (এআইএমএমএম) নাভিদ হামিদ বলেছেন, তিনি বিস্মিত ও হতাশ। তাঁর আরও বক্তব্য, এই বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বলছেন না। নাভিদ বলেন, ‘প্রতিটি দিন সবকা সাথ সবকা বিকাশের স্লোগানের অন্তঃসারশূন্যতা প্রকাশ হয়ে পড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি মোদি সরকারের কাজের মধ্য দিয়ে। দুঃখের বিষয় হল, সংখ্যালঘুদের জন্য বাজেট-বরাদ্দেও কোপ ফেলা হয়েছে।’ হামিদ উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ৫০২০ কোটি টাকার মধ্যে ২৬১১ কোটি টাকা খরচই হয়নি। তিনি আশঙ্কা করছেন, গতবছরের মতো সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ অর্থ ব্যয় করা হবে না। তাঁর কথায়, ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটা একটা মশকরা। সুনিয়ন্ত্রিত বৈষম্যই এই সরকারের নীতি। মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও জোরালো নেতৃত্ব নেই।’ সংখ্যালঘু স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তিনি সরকারের সমালোচনা করেছেন। হামিদের মতে, এর ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা দীর্ঘমেয়াদিভাবে বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩০৯৭.৬০ কোটি টাকার মোট বাজেটে ১৩২ কোটি টাকা রাখা হয়েছে কেন্দ্রের নির্মাণমূলক ব্যয়ের জন্য, কেন্দ্রের প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৬৮৯ কোটি টাকা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবিকা খাতে রাখা হয়েছে ৬৪.৪০ কোটি টাকা, সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ প্রোগ্রামের জন্য ২৬.১০ কোটি টাকা ও পিএম বিকাশ কমিটেড লায়াবিলিটিজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যই শুধু বরাদ্দ হয়েছে ২৩৩৬.৫০ কোটি টাকা আর অন্যান্য কেন্দ্রীয় খাতে ব্যয়ের জন্য রাখা হয়েছে ১৯.১০ কোটি টাকা।