পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে মূলত রাজ্য দেয় ৫০ শতাংশ টাকা, একই পরিমাণ টাকা দেয় কেন্দ্রও। জল জীবন মিশনের অধীনে রাজ্য ভালোই কাজ করছে। মঙ্গলবার জল জীবন মিশন নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানেই উঠে এল এই তথ্য।
জানা গিয়েছে জল জীবন মিশন প্রকল্পে রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে প্রতি ঘরে জল পৌঁছনোর কাজে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তোষও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের আধিকারিকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে এই টাকা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে বিভিন্ন জেলার আধিকারিকরা এই বৈঠকে ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পর্যায়ের আধিকারিকও। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত থেকে রাজ্যের কাজের প্রশংসা করেন কেন্দ্রের আধিকারিক। বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছনোর কাজে রাজ্য একাধিকবার এক নম্বর হয়েছে।
মুখ্যসচিব চান, এই রেকর্ড যেন কোনোভাবেই হারিয়ে না যায়। এদিন জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই স্কুল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে জলের লাইন পৌঁছে দেওয়ার।
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাড়ি বাড়ি কলের জলসংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অর্জন করে। কেন্দ্রের তরফে গত অর্থবর্ষে যে, রিপোর্ট সামনে এসেছিল, তাতে ২৩ লক্ষ পার করে গিয়েছিল এই সংযোগের সীমা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল ওড়িশা ও বিহার। তবে তারা ১৭ লক্ষের ঘরে ছিল বলেই সূত্রের খবর। এবারও কেন্দ্রের প্রশংসা পেয়েছে রাজ্য। যদিও পরিসংখ্যানভিত্তিক হিসাব এখনও স্পষ্ট নয়।
২০২৪-এর মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পাইপবাহিত জলসংযোগ পৌঁছে দিতে রাজ্যকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯-এর ১৫ আগস্ট জল জীবন মিশন শুরু করার কথা ঘোষণা করেন। দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি পরিবারে ২০২৪-এর মধ্যে পাইপবাহিত জলসংযোগ পৌঁছে দিতে এই মিশনের সূচনা হয়।