পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: আইসিডিএস সেন্টার গুলোর পরিকাঠামো অভাব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সিডিপিওর অফিস ঘেরাও করলো আইসিডিএস কর্মীরা। শুক্রবার বসিরহাট ১ আইসিডিএস প্রজেক্ট অফিসে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা গণস্বাক্ষর করে অফিসের সামনে মাইক বেধে অবস্থান ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। উত্তর ২৪ পরগনা আইসিডিএস সমিতির সম্পাদক কনিকা দাস বলেন, মহকুমার বেশ কিছু আইসিডিএস সেন্টার বেহাল ভগ্ন দশা। আবার কোথাওবা খোলা আকাশের নিচে রান্না করতে হচ্ছে। কখনো আবার ত্রিপল টাঙিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করে শিশুদের আহার দিতে হচ্ছে। তাই উপযুক্ত পরিকাঠামোসহ সুস্থ পরিবেশে সঠিকভাবে সরকারি নিয়ম মেনে আইসিডিএস সেন্টার চালানোর দাবিতে বসিরহাট ১ চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিস ঘেরাও করেছে আইসিডিএস এর কর্মীরা।
আইসিডিএস কর্মী ভারতী ঘোষরা বলেন, কর্মস্হলে আমাদের ড্রেস পরা বাধ্যতা মূলক সেই ড্রেসটাও আমাদের টাকায় করতে হয়, সরকার দেয় না।কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে হলেও পেনশন গ্রাজুইটি কিছুই নেই আমাদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। পাশাপাশি যেখানে ন্যূনতম ২৬ হাজার টাকা বেতন হওয়া উচিত। সেখানে আমরা হাজার থেকে ২০০০ টাকা ২,৫০০ হাজার বেতন পাই। অধিকাংশ জায়গায় আইসিডিএস কর্মীদের জন্য কোন টয়লেট নেই। বসার জায়গা নেই, রান্না করার জায়গাটুকু নেই। এই কঠিন দূরবস্থার মধ্য দিয়ে ছোট ছোট শিশুদের শিক্ষার আলোয় পৌঁছাতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এই প্রকল্পের অধীন সুপারভাইজার, এমনকি গাড়ির ড্রাইভাররাও পর্যন্ত সরকারি নির্ধারিত বেতন পাচ্ছেন। আর আমরা যেভাবে পরিশ্রম করে চলছি তাতে আমাদের দিকে কেন্দ্র সরকারের কোন নজর নেই। সর্বশিক্ষা মিশনের যে অর্থ আসছে তা অতি নগণ্য। যা দিয়ে বাচ্চাদের খাবার যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মে পরিমাণ গ্যাসের দাম বেড়েছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তাতে বাচ্চাদের রান্না করতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাদের দাবি, শিশুদের খাবারের জন্য বরাদ্দ টাকা দু মাস তিন মাস অন্তর দিলে হবে না প্রতি মাসেই দিতে হবে। এইসব একাধিক দাবিতে ডেপুটেশন দেন চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বসিরহাট থানার পুলিশ বাহিনী। তারপর বিক্ষোভকারী আইসিডিএস কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।