পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বাসমতি ছাড়া অন্য চালের রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কেন্দ্র। ভাঙা চাল রফতানির ক্ষেত্রেও সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল সরকার। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এই নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভাঙা চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ভারতের অভ্যন্তরে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর চাল উৎপাদন কম হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল বলেই খবর। বিশ্বের অন্নদাতা হিসাবেই পরিচিত ভারত। কিন্তু বিশ্বায়নের প্রভাবে এবার অন্য দেশের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার দায়িত্ব থেকে বিরত ছিল। লক্ষ্য একটাই দেশের অভ্যন্তরে চালের সরবরাহ বাড়ানো।
সম্ভবত বর্তমানে চালের সরকারি মজুদ ও সরবরাহ সুনিশ্চিত হবার পরেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর বর্ষা দেরিতে আসায় এবং মরশুমে কম বৃষ্টিপাতের কারণেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় গত বছরের তুলনায় তুলনামূলকভাবে এবারেও ফলনও কম হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে চাহিদার তুলনায় চাল কম থাকার জন্য দাম বেড়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করেছিল সরকার।
সম্প্রতিই কেন্দ্রের তরফে ভাঙা চালের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির সময়ে জানানো হয়েছিল যে, গত বছরের তুলনায় এবার খরিফ ফসলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম হয়েছে। এরফলে উৎপাদনের উপরে যেমন প্রভাব পড়বে, তেমনই চালের দামও বাড়তে পারে। দেশে যাতে মজুত ধান ও চালের অভাব না দেখা যায়, তা নিশ্চিত করতেই আপাতত বিদেশে ভাঙা চাল রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এর আগে গম, আটা, চিনির রফতানিতেও রাশ টানা হয়েছিল খাদ্যসঙ্কট রুখতে।