পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এ পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’ বলে জানিয়েছে কাতার। রাজধানী দোহায় আয়োজিত ফোরামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এমন মন্তব্য করেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল-থানি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় পক্ষকে চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে কাতার।’ প্রসঙ্গত, গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের দুই মাস পার হয়েছে। নভেম্বরের শেষে যুদ্ধবিরতি জারি করতে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে কাতার। সেসময় বন্দি বিনিমিয় হয় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে। তবে নতুন করে গাজায় ইসারইলের হামলা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে দোহা।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ এখন পূর্ণ গতিতে চলছে। জানিয়েছেন, হামাসের কয়েকডজন সদস্য অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে গাজার খান ইউনুসে টানা বোমা ফেলছে ইসরাইলি যুদ্ধ বিমানগুলো। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরাইল। এদিকে, হামাসের সামরিক শাখা বলেছে, আলোচনায় না বসলে কোনও বন্দিকে মুক্ত করাতে পারবে না ইসরাইল। রবিবার আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছেন, ‘শক্তি দিয়ে ইসরাইল বন্দিদের মুক্ত করতে পারবে না।’ বক্তব্যে সম্প্রতি বন্দি উদ্ধারে ইসরাইলের একটি চেষ্টাকে ব্যর্থ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র হামাসের দাবি পূরণ করলেই ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। হামাসের শর্তগুলোর মধ্যে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মুক্তি বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর বাইরে ইসরাইল কোনওভাবেই তাদের বন্দিদের জীবিত অবস্থায় মুক্তির আশা করতে পারে না। হামাস মুখপাত্র আরও বলেন, যায়নবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া হামাসের সামনে কোনও বিকল্প নেই। গাজার প্রতিটি এলাকায়, প্রতিটি রাস্তা ও গলিতে হামাসকে লড়াই করতে হবে। হামাস যোদ্ধারা গত দশ দিনে ইসরাইলের ১৮০টি সাঁজোয়া যান, ট্যাঙ্ক ও বুলডোজার আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে।