দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সি বি আই তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। সেই প্রেক্ষিতে সি বি আইয়ের একটি টিম গতকাল খয়রাশোল ব্লক ও ইলামবাজারে নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে। রবিবার সেই টিম নলহাটি আসে। মৃতের পরিবারের সাথে কথা বলেন তারা। জানা গেছে, চোদ্দ মে নলহাটি থানার মথুরা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম নলহাটি থেকে বাড়ি ফেরার পথে ক্যানেল পাড়ে নলহাটির পনেরো নং ওয়ার্ড তথা জগধরী গ্রামের বাসিন্দা মনোজ জয়শোয়াল মৃত অবস্থায় ক্যানেলের ধারে পড়ে আছে। নলহাটি থানায় তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা রুজু হয়। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন অভিযুক্ত জেল হেফাজতে আছে এবং কয়েকজন জামিনে মুক্ত আছে। রবিবার সি বি আই টিম মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে কথা বলেন। বর্তমানে মৃতর স্ত্রী স্বামীর ব্যবসা দেখেন। একুশের বিধানসভার নলহাটির বিজেপির এম এল এ পদ প্রার্থী আনন্দ যাদব বলেন, বিজেপির নতুন কর্মী ছিলেন। আগে তৃণমূল করতেন। বাড়ি থেকে ফিস্ট করতে বেরিয়ে যায়। পাইকপাড়া গ্রামে বন্ধুদের সাথে ফিস্ট করার সময় দুষ্কৃতীরা বাঁশ দিয়ে তাকে পিটিয়ে মারে। মৃত ব্যক্তি নলহাটি শহর কংগ্রেসের তৃণমূল শহর সভাপতি পিন্টু সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ভোটের কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন।
অন্যদিকে, মল্লারপুর থানার কোট গ্রামে যায় সিবিআই টিমের।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন একাধিক এলাকা ঘুরে রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশ মেনেই এই তদন্ত বলে জানা গেছে।
মল্লারপুরের কোট গ্রামে নিহত মেহেমুদ জাকির হোসেনের ছেলে নাসিমুদ্দিন সেখ বলেন, বিধান সভা নির্বাচনের পর তিন তারিখ আমাদের কোট গ্রামের বাড়ি ভাঙচুর হয়। কামরাঘাটে আমার হার্ডওয়ার দোকানে ভাঙচুর হয়। আট অগাস্ট বাবা মেহেমুদ জাকির হোসেন বাড়ি ফেরার পথে রথিন সরকার, জহির কাজী প্রভৃতির নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। তিনি বুথের এজেন্ট ছিলেন। তাঁকে প্রথমে মল্লারপুর তারপর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এক বেসরকারী নার্সিং হোম এবং কোলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে ডানকুনির কাছে ষোলো অগাস্ট মারা যান। দুজন দোষী সারেণ্ডার করেছে আমরা চাইছি দোষীদের শাস্তি হোক। এর পাল্টা অভিযোগ শোনা যায় যে, বাড়ি করতে গিয়ে প্রচুর ঋণ হয়। সেই নিয়ে একটা ঝামেলা আগে থেকে ছিল।
প্রসঙ্গত: শনিবার ইলামবাজার থানার অন্তর্গত কামারপাড়া এলকার বিজেপি সমর্থক মৃত গৌরব সরকার বাড়ি যায়। মৃতের বাবা গৌরাঙ্গ সরকারের সাথে কথা বলে সিবিআই।