পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি চারদিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একগুচ্ছ কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক। দুই দেশের মধ্যে সাত দফার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর সেই সময় ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেয় হাসিনা সরকার। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সমস্ত ইলিশ ভারতে ঢুকে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এবার সেই ইলিশ রফতানিতে বিপত্তি। ভারতে এবার ইলিশ রফতানি স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে চলেছে।
এই প্রসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সরকারের চার সচিব ও তিনটি সংস্থার চেয়ারম্যান রবিবারই রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
বাণিজ্যসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান বরাবর ওই নোটিশ পাঠানো হয়।
পরে আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান,‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে দরিদ্র মানুষ তা কেনার কথা কল্পনাও করতে পারে না। এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও কিনতে পারে না। জনগণের চাহিদা সত্ত্বেও বাণিজ্যসচিব ৪ সেপ্টেম্বর ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছেন। ভারতে ইলিশ রফতানির কারণে দেশের বাজারে ইলিশের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে দেশের বাজারে ইলিশের যে দাম, তার চেয়ে ভারতে রফতানিমূল্য কম। তাই স্থায়ীভাবে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না দেওয়া হলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের অনুমতির পর থেকে ভারতীয় বাজারে হু হু করে ইলিশ ঢুকতে শুরু করে। পুজোর মুখে ইলিশ সংবাদে খুব স্বাভাবিকভাবেই এই খবরকে আনন্দের সংবাদ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল। মৎস্যব্যবসায়ীদের সঙ্গে সঙ্গে এই খবরে ক্রেতারদের মুখেও বিষাদের সুর।