পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মণিপুরে জাতি দাঙ্গায় নিহত মানুষদের দেহ সৎকার নিয়ে শেষ পর্যন্ত ডাইরেকশন দিতে হল সুপ্রিম কোর্টকে। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত কমিটি জানায়, মর্গে রাখা ১৭৫টি দেহর মধ্যে ১৬৯টি চিহ্নিত হয়েছে। তাদের মধ্যে দাবি জানানো হয়েছে ৮১টি দেহ সৎকার করার জন্য আর ৮৮টি দেহের সৎকারের জন্য কোনও দাবি জানান হয়নি। মণিপুর সরকার ইতিমধ্যে ৯টি জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সৎকারের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানায় নির্দেশনা মেনে অবিলম্বে দেহ সৎকার করে ফেলতে হবে মৃতদেহ নিয়ে বাজার গরম করার কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের অধ্যক্ষতায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানায় এ বছর মে মাসে দাঙ্গা হয়েছে এতদিন দেহ মর্গে ফেলে রাখা যায় না।
কোর্টের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, নিহতদের আত্মীয়রা সৎকার করতে পারবেন। কোনও তৃতীয় পক্ষ বাধা দিতে পারবে না। নিকটাত্মীয়দের জানাবে এবং সৎকারের সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে সরকার। যারা দাবি করছেনা তাদেরকে জানাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে না এলে সরকার ধর্মীয় ও পরম্পরা বিশ্বাস অনুযায়ী সৎকার করে দিতে পারবে। ডিএনএ স্যাম্পেল তুলে রাখতে হবে দাবিহীন লাশের ক্ষেত্রে। ইম্ফলের মর্গেই বেশি লাশ রয়েছে। সরকার লাশের বিবরণ জানিয়ে রিলিফ ক্যাম্পে থাকা মানুষদের কাছে লাশ পৌঁছাতে পারবে প্রয়োজনে আত্মীয় পরিজনরা সৎকারে এগিয়ে আসেন।
এই মামলা নিয়ে কোর্টে জানানো হয় আদিবাসীদের পরম্পরা অনুযায়ী তারা গণকবরে সমাহিত করতে চায় নিহতদের নিজ নিজ এলাকায় সরকারের নির্দিষ্ট সমাধিস্থল অপছন্দ অনেকের। আবার অনেকে মৃতদেহ গ্রহণ করতে বাধা দিচ্ছে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস না পাওয়ায়। তাদের ধারণা হত্যার প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাবে এরফলে অনেক পরিবার চাইলেও সৎকার করতে পারছেন না।
ফলে, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সৎকার করে ফেলতে হবে। সরকারকেও এই নিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, মণিপুরে জাতিদাঙ্গা নিয়ে কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে বিদ্বেষ এখন বজায় রয়েছে। কুকিরা ইম্ফলে আসতে চাইছে না। অনেকে আতঙ্ক বা ভয়ে লাশ নিতে আসতে পারছে না। ফলে সৎকার না হয়েই পড়ে রয়েছে লাশ দীর্ঘ সময় ধরে।